ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

চালু হচ্ছে ল্যাপটপ ঋণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৩
চালু হচ্ছে ল্যাপটপ ঋণ

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ ঋণ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।



রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ ঋণ বিতরণে কর্মকৌশল নির্ধারণ’  শীর্ষক কর্মশালায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপুটি গভর্নর-১ মো. আবুল কাশেম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ল্যাপটপ হলো বিশ্বজ্ঞান। এর মাধ্যমে একজন সহজে বিশ্বকে হাতের কাছে পেতে পারেন। এ জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমনকি সম্ভব হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ল্যাপটপ ব্যবহারের ব্যবস্থা করা উচিত।

দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। কিন্তু আমরা কেউ দক্ষতা বৃদ্ধি বা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করি না। আমরা সুযোগ পেলে প্রেসক্লবের সামনে গিয়ে রাজনৈতিক আলোচনায় লিপ্ত হই।

তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতি ল্যাপটপের জন্য ঋণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ল্যাপটপের জন্য ঋণ দিলে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা যাবে। যাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়ে ভালো সুবিধা পাওয়া যাবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যেতে হলে কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে ল্যাপটপের জন্য ঋণ পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

কিভাবে এ ঋণ দেওয়া যায় তার নীতিমালা ঠিক করতে অচিরেই একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব। এ বিষয়ে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) চিঠি দেওয়া হবে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সুকোমল সিংহ চৌধুরী। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ ঋণ বিতরণের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা  ও এর ফলে যেসব সুফল পাওয়া যাবে তা তুলে ধরেন।

এ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-১ মো. আবুল কাশেম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ব্রাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ডিএমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন।

বাংলাদেশ সময় ১৮২৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৩
এএসএস/সম্পাদনা: মাহমুদুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর/ সাব্বিন হাসান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।