ঢাকা: মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর! হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেছে আপনার মোবাইল ফোনের ব্যালান্স। অথচ এই মুহূর্তেই কাউকে ফোন করা খুবই জরুরি।
কিন্তু কোথাও খুজেঁ পাচ্ছেন না রিচার্জের দোকান। তাই এখন কী করবেন। কোন চিন্তা নেই। আপনি অনলাইনেই রিচার্জ করতে পারবেন। অনলাইনেই রিচার্জের উদ্যোগ নিয়েছে একটি ব্যক্তি মালকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর আনাচে-কানাচে এবং অলিগলিতে গড়ে উঠেছে অগণিত মোবাইল রিচার্জের দোকান। কিন্তু কোথাও কোথাও রিচার্জের দোকান নেই খুব একটা। তার ওপর অনেক সময় সেই দোকান খুজেঁও পাওয়া যায় না। এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে ‘নেক্সটজেন বাংলাদেশ’। প্রতিষ্ঠানটি থেকে আপনি অনলাইনেই মোবাইলে রিচার্জ করতে পারেন।
প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী জিয়াউল করিম বাংলানিউজকে জানান, এই ধারণাটি বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। আগামিতে এটি আরও বিস্তার লাভ করবে বলে তার ধারণা।
তিনি জানান, ২০১২ সালের মার্চে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছে। গ্রাহকদের কাছে থেকেও খুব ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
জানা যায়, মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠান ফ্লেক্সিলোড এজেন্সীশিপ নিয়েছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো থেকে শতকরা ২ দশমিক ৯ ভাগ কমিশন পায় তার প্রতিষ্ঠান। সেই কমিশন থেকেই গ্রাহকদের কমিশন দেয়া হয় ২ দশমিক ৭ ভাগ। কমিশন থেকে লাভ হয় মাত্র দশমিক ২ ভাগ।
প্রতিষ্ঠানটির এজেন্ট আছে ৩০টি। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন ক্রেতা তার প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোবাইল রিচার্জ করেন। লেনদেনও ভালো। প্রতিদিন ক্রেতারা সেখান থেকে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা রিচার্জ করেন।
জানা যায়, ক্রেতারা আগে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে রেজিস্ট্রেশন করবেন। তারপর মোবাইল রিচার্জ করতে চাইলে ক্রেতারা নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করবেন। যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান মানি ট্রান্সফার করে, সেখান থেকেও প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল ফোনে টাকা পাঠাতে পারেন। তার পর ই-মেইল করে প্রতিষ্ঠানটিতে জানালেই কাঙ্খিত টাকা রিচার্জ করে দেয়া হয়। তবে টাকা না পাঠানো পর্যন্ত কাউকে রিচার্জ করে দেওয়া হয় না।
বিস্তারিত জানতে চাইলে পুরানা পল্টনের সাব্বির টাওয়ারের দশ তলায় প্রতিষ্ঠানটির অফিসে সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। টেলিফোন ও ই-মেইল করেও জানতে পারেন।
যোগাযোগের ঠিকানা: মোবাইল নম্বর: +৮৮০১৭১৩৯৪১৮৬৪, +৮৮০১৯৭৬ ৩৯৮৪৩৬ এবং ই-মেইল:karim@factualgroup.com, factualgroup@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৩
এআর/ সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর