ঢাকা: ফেসবুকে দেওয়া ভুয়া তথ্য, ছবি ও মন্তব্যের জের ধরে সংগঠিত দুর্ঘটনার কারণে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে বাংলাদেশ। আর এ কারণেই জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কাছে ১২ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে পাওয়া এ ধরনের অনুরোধ নিয়ে ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনটির তথ্য মতে, সরকার চাইলেও কোনো তথ্য দেয়নি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, সরকার কাদের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে এ ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি প্রতিবেদনে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে ৩৮ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হলে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই তা পূরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন কর্তৃক ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফটসহ অনলাইন মাধ্যমগুলোর ওপর মার্কিন প্রশাসনের গভীর নজরদারির তথ্য ফাঁসের পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলো ফেসবুক। তবে যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এখানেই ক্ষান্ত হবেন না, নিয়মিতই এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করবেন তারা।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে দেওয়া ভয়া তথ্য, ছবি ও মন্তব্যের কারণে গত বছর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ বেশ বড় ধরনের কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশে সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া সাম্প্রদায়িক উস্কানির চেষ্টা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর প্রচারণার অভিযোগে বাংলাদেশে কয়েকদিন ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষে তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন সরকারের করা প্রতিটি অনুরোধ আলাদাভাবে পরীক্ষা করে দেখেছে তারা এবং তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৩
এসএটি/এইচএ/জিসিপি