স্যামসাং বাংলাদেশে প্রথমবার গ্যালাক্সি নোটথ্রি প্রি-বুকিং গ্রাহকদের জন্য স্মার্ট অ্যাকাডেমি চালু করেছে। এ কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ পণ্যের বিশেষ ফিচারের ব্যবহার তুলে ধরা।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশে থ্রিজি সেবা চালুর আলোকে স্যামসাং এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্যালাক্সি নোটথ্রি এবং থ্রিজি সেবার সমন্বয়ে গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতেই এ আয়োজন।
স্যামসাং স্মার্ট অ্যাকাডেমি উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের ভিত্তিতে কাজ করে। মূলত গ্রাহকদের স্যামসাং পরিবারের অংশ করে নিতেই এ উদ্যোগ।
এখানে কর্মশালায় পারস্পরিক আলোচনায় সর্বোত্তম গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে এবং পণ্যগুলোকে আরো ব্যবহারবান্ধব করে তুলতে গ্রাহকদেরকে তাদের প্রিয় স্যামসাং পণ্যের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করা হয়। ঠিক এমনই একটি উদ্যোগ স্যামসাং বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে গ্যালাক্সি নোটথ্রি ভোক্তাদের সেবায়।
প্রথমবার আয়োজিত স্মার্ট অ্যাকাডেমি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি এস মুন এবং হেড অব মোবাইল হাসান মেহেদী।
এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে সি এস মুন বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রধমবার এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্যামসাং। বাংলাদেশেও আমরা এ আয়োজন শুরু করেছি। শুধু বিশ্বমানের পণ্য নয়, স্যামসাংয়ের লক্ষ্য গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করা।
এ কর্মশালায় গ্যালাক্সি গিয়ার উদ্বোধন এবং গ্রাহকেরা এর সহায়তার কল গ্রহণ, মেসেজ পড়া, ছবি তোলা ও ভিডিও করা, অ্যালার্ম সেট ছাড়াও বিভিন্ন ফিচারের কৌশলগত দিক উপভোগ করতে পারবেন।
এবারের কর্মশালায় গ্যালাক্সি নোটথ্রি’র বিভিন্ন ফিচারের ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়। গ্যালাক্সি গিয়ারের এক্সেসরিজের মাধ্যমে গ্রাহকেরা গ্যালাক্সি নোটথ্রি’র সঙ্গে সংযোগ করে এয়ার কমান্ড, অ্যাকশন মেমো, স্ক্র্যাপবুক এসব অভিনব ফিচারের বাস্তব প্রয়োগ দেখেন। পুরো কর্মশালায় পরিচালনা করা হয় একটি গ্যালাক্সি নোটথ্রির মাধ্যমে। এতে স্ক্রিন মিরর প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় এইচডিটিভি স্ক্রিনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
এ কর্মশালার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল যখন নোটথ্রি ব্যবহার করে ভিডিও কল করা হয়। এখানে উপস্থিত গ্রাহকেরা উপস্থাপকের সঙ্গে ডুয়্যাল ভিউ মোডে একইসঙ্গে ফ্রন্ট এবং ব্যাক ক্যামেরা ব্যবহার করে কথোপোকথন করেন।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া স্থপতি আরিফ আনোয়ার বলেন, এ ধরনের ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ডস্টে ব্যবহারকারীরা সাধারণত ব্যস্ততার কারণে সব ফিচার উপভোগ করার সুযোগ ও সময় পান না।
এ সেশনের ফলে এমন সব ফিচার সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়েছে যা সাধারণভাবে জানা সম্ভব যেত না। এ স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই যেকোনো জায়গা থেকে ও যেকোনো সময়ে ইচ্ছামতো ডিজাইন উপস্থাপন করার কৌশল পেশাজীবীদের জন্য দারুণ সহায়ক বলে জানান আরিফ।
বাংলাদেশ সময় ১৮৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান