ঢাকা: প্রযুক্তি প্রগতির পথ বলে গণ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ হতে হবে সবার জন্য।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের আনোয়ার হোসেন অডিটরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ডা. সাহানা আফরোজ।
আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী তরুণ প্রজন্ম সম্পর্কে বলেন, এখন তরুণ প্রজন্ম ‘ডিজিটাল’ হয়েই জন্মলাভ করছে। দরকার তাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা। তাহলে তারা ডিজিটালগতিতে এগিয়ে যেতে পারবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে যদি সহজলব্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে দেশ স্বাভাবিকভাবেই ‘ডিজিটালভাবে’ উন্নতি লাভ করবে।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে দুটি কবিতা পাঠ করেন। এ সময় তিনি সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব খোন্দকার আসাদুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল-প্রযুক্তি থেকে সরে থাকার উপায় নেই। তাই, এ থেকে যে সমস্ত উপকার পেতে পারি, তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে যা রয়েছে, তা হলো প্রথমে রাজধানী, এরপর বিভাগীয় শহরে সবশেষে গ্রামে যাচ্ছে। এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন বাস্তবায়িত পদক্ষেপগুলো এবং কয়েকটি সুপারিশমালা তুলে ধরেন কমিশনের সদস্য (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী আলী জুরকারনাইন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক সাইদির রহমান, কমিশনের সদস্য (পরিকল্পনা) মনিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী মঞ্জুরুল হক, কমিশন অধিদফতরের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৪