তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে “জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি ” কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নের লক্ষ্যে জামালপুরে আয়োজন করা হয় পাঁচদিনের কর্মশালা।
আইসিটি মন্ত্রণালয় ও জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় কারিগরি সহযোগিতা দেন এথিক্স অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড(ইএটিএল)।
এ প্রশিক্ষণে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ জন প্রশিক্ষনার্থী নির্বাচিত হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের আইসিটি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সনদপত্র দেওয়া হয়।
৫ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের জাভা প্রোগ্রামিং ব্যবহারে কিভাবে বিভিন্ন ধরণের মোবাইল অ্যাপস তৈরি কার যায় সে বিষয়ে শেখানো হয়। এরপর ব্যবহারিক ক্লাসে প্রশিক্ষণার্থীরা বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী অবিনাশ ঠাকুরের “কুইক কানেক্ট” সেরা অ্যাপ হিসেবে নির্বাচিত হয়। সিম্ফনী মোবাইলের পক্ষ থেকে তাকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উপহার দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রয়েডে তৈরি অ্যাপটির মাধ্যমে রেজাল্ট ও নিউজপেপার দেখা এবং পাঠ্য-বিষয়ক বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এস আর আরমান শাকিল (সহকারী কমিশনার, আইসিটি), সহকারী প্রোগ্রামার হাবিবুল্লাহ সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকদের মতে, এ উদ্যোগ দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন ও আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে ইএটিএল ও এমসিসি। এছাড়াও রয়েছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট ও গুগল ডেভেলপার গ্রুপ ঢাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৪