ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন বুয়েট

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৪
কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন বুয়েট

দেশের ৫২ টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৫ টি দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ‘ড্যাফোডিল জাতীয় কলেজিয়েট প্রেগ্রামিং কনটেষ্ট ২০১৪’ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাক্স +৭দল। প্রথম রানার আপ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েট ওনিয়ন, দ্বিতীয় রানার আপ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের SUST_bat-bateans এবং তৃতীয় হয়েছেন ডিআইইউ প্রাইমেটিভ দল।

  

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সহযোগিতায় ডিআইইউ মিলনায়তনে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার তার প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বদ্ধপরিকর এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু সাফল্য এসেছে যার সুফল ভোগ করতে পারছে জনগন।
 
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে এ ধরনের প্রোগ্রামিং কনটেস্টের ভূমিকা ব্যাপক। কেননা দেশে দক্ষ আইটি কর্মীর অভাবে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে বিদেশিরা চাকুরী করছে। এসব জায়গাগুলো নিজেদের দখলে রাখতে হবে। তাছাড়া আইটি ক্ষেত্রে লোকবল বাড়াতে সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ১জন করে আইটি স্পেশালিষ্ট নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের যে বুট ক্যাম্প পরিকল্পনা রয়েছে সেখানে প্রচুর আইটি কর্মী দরকার। এছাড়া গ্রীণ টেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, ইনোভেশন প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই যেখানে দেশের আইটি কর্মীরা  কাজ করবে। আগামীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে আরো বড় পরিসরে প্রোগ্রামিং কনটেস্টের আয়োজন  করবে যেখানে সরকারের সহযোগিতা থাকবে বলে আশাবাদ করেন তিনি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ। জ্ঞানভিত্তিক নতুন ধারার অর্থনীতির গতি তরান্বিত করতে হলে দেশের মেধাবী তরুণ সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আত্মনিয়োগে ব্যাপকভাবে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে এবং উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, এমন আয়োজনে প্রতিযোগিরা তাদের অভিনবত্ব ও সৃজনশীল মেধা প্রয়োগের সুযোগ পাবে।

 
ডিআইইউ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক প্রফেসর ড. এম কায়কোবাদ, কনটেষ্ট পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, এসিএম আইসিপিসি এর বাংলাদেশ কাউন্সিল প্রধান অধ্যাপক আবু লেইস হক এ সময় বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।