ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাল, মন্দ দুই ধরনের স্ট্যাটাসই সচরাচর দেখা যায়। আর সেসব স্ট্যাটাস ব্যবহারকারীদের মনে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ও সানফ্রান্সিসকোর সমাজবিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ফেসবুকের সহায়তায় একটি গবেষণা চালান। যেখানে তারা দেখেন যে ফেসবুকে যুক্ত থাকা বন্ধুদের স্ট্যাটাস ও অন্যান্য কার্যক্রম ব্যক্তির মানসিক অবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
গবেষণার ফল অনুযায়ী, হঠাৎই মানসিক অবস্থায় এমন কোনো পরিবর্তন আসলে বন্ধুর দেওয়া সেই স্ট্যাটাসকে এখন দায়ী করা যেতে পারে। এমনকি কারণ খুঁজতে সেসব স্ট্যাটাস ভালকরে খুঁটিয়েও দেখতে পারে ব্যবহারকারীরা।
গবেষকরা একাজে ছয় লাখ ৮৯ হাজার ৩ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী বেছে নেন। যেখানে ফেসবুক নিউজফিডের মোট ১২২ মিলিয়ন শব্দের ৩ মিলিয়নের অধিক ইতিবাচক এবং নেতিবাচক স্টোরি গণনায় রেখেছিল। আর সেখান থেকে ৪ মিলিয়ন ইতিবাচক আর ১.৮ মিলিয়ন নেতিবাচক শব্দ পাওয়া যায়।
গবেষক দলের সদস্য কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ হ্যানকক বলেন, যখন নিউজ ফিডে অতিরিক্ত নেতিবাচক স্ট্যাটাস থাকে, তখন একজন ব্যক্তি তুলনামূলক বেশি ইতিবাচক স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। অপরদিকে নিউজ ফিডে বেশি ইতিবাচক স্ট্যাটাস থাকলে তখন নেতিবাচক বা মন খারাপ হয় এমন স্ট্যাটাস বেশি আসতে থাকে।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষের আবেগীয় অবস্থায় যে প্রভাব ফেলতে পারে এটা সাধারনভাবে জানা থাকলেও বৈজ্ঞানীকভাবে আবারও বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৪