চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে অ্যাপলের ‘ফ্রিকোয়েন্ট লোকেশন’ নামক ফিচারের নেতিবাচক কিছু দিক প্রকাশ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এ মুহূর্তে কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিচারটি ব্যাক্তির গোপনীয়তা, নিরাপত্তা এমনকি জাতীয় পর্যায়ের জন্য হুমকি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমটি প্রতিবেদেনে জানায়, এ ধরনের ডেটা অপকর্মকারীদের হাতে পড়লে তা রাজ্যের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য ফাঁসের সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। এমনকি জাতীয় অর্থনৈতীক তথ্যও উন্মোচন হতে পারে এর মাধ্যমে। অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের অবস্থান জেনে তাদের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে কোপার্টিনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফিচারটির ব্যবহারবিধি নিয়ে সুস্পষ্ট এক বিবৃতিপত্র প্রকাশ করেছে। গ্লোবাল পজিশন সিস্টেম (জিপিএস) স্যাটালাইট ব্যবহার করে ফোনের লোকেশন ডেটা বিশ্লেষনের জন্য এটি মাত্র কয় মিনিটে তথ্য ধারণ করে। এছাড়া আগে জমা হওয়া ডব্লিউল্যান হটস্পট এবং সেল টাউয়ার লোকেশন ডাটা ব্যবহারে কয়েক সেকেন্ডে ডেটা কমাতে পারে আইফোন। মূলত কোন হটস্পট এবং এবং সেল টাওয়ারগুলো সম্প্রতি আইফোনের দারা রিসিভ হচ্ছে সেসব তথ্যের সমন্বয় করে কাজটি করে ‘ফ্রিকোয়েন্ট লোকেশন’।
চীনের বাজারে বিপুল সংখ্যক আইফোন বিক্রির উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি হালনাগাদ করবে অ্যাপল। অচিরেই আইফোনের নতুন সংস্করণ প্রকাশের কথা রয়েছে। যখন এ ঘটনা অ্যাপলের আইকোনিক স্মার্টফোন কেনা থেকে ভক্তদের দমিয়ে রাখতে পারবেনা এমনটা ধারণা করছে আলোচকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪