ঢাকা: সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এ তথ্য জানান।
হোটেল র্যাডিসনে সংবাদ সম্মেলনে সিটিও মহাসচিব অধ্যাপক টিম আনউইন ও বিটিআরসি’র সচিব মো. সারওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ফেসবুক, গুগল ও অন্যান্য ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ঘটা অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার ডিজিটাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একটি অভিযোগ কেন্দ্র খুলবে।
মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টেকনিক্যাল টিম এই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। এরপর তা সরকারের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে অবগত করবে।
সাইবার অপরাধ ইস্যুতে তিনি বিটিআরসি’র দক্ষতার দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বলেন, গুগলের সাহায্য ছাড়া রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী ক্যাম্পেইন বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি নিজে সাইবার অপরাধ দমনে দুটি আলাদা সেল খুলবে। ট্রেনিং কর্মসূচির মাধ্যমেই এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, গত তিনদিনের সিটিও সম্মেলন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সম্মেলনে ১০১ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
ফোরামে কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫৩টি দেশের প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংখ্যা ৫৩টি। সিটিও’র সদর দপ্তর লন্ডনে। সিটিও অ্যানুয়াল ফোরাম কমনওয়েলথ দেশভূক্ত দেশের সরকার, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান, অপারেটর ইন্ডাষ্ট্রি এবং স্টেক হোল্ডারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। গত বছর ফোরামটি নাইজেরিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়।
এই ফোরামে মোবাইল ব্রডব্যান্ড নীতিমালা, সাইবার নিরাপত্তা, অপরাধ দমন, নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক, কনটেন্ট ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট, ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ, আইপি টেকনোলজি, স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড, টেলিকম রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক, শিক্ষা-যুব সমাজ ও আইসিটি ব্যবহার এবং গ্রিন টেকনোলজিসহ টেলিযোগাগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০ , ২০১৪