বাংলা ভাষায় নিয়ন্ত্রিত মানবাকৃতির রোবট (বাইপেডাল) উদ্ভাবন করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে এটি তৈরি করেছেন উক্ত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শামসুল আলম (সম্রাট) ও রাকেশ ঘোষ রোব।
কোনোরকম তার সংযোগ ছাড়াই রোবটটি মুঠোফোনের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
উদ্ভাবন প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে মূলত মানুষের শরীরের নিচের দিকের অঙ্গ বিশেষকরে কোমর থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত কাজ করে। মানুষের চলার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে রোবটটি। ইংরেজি ভাষা জানেন না এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কথা ভেবে রোবটটি বাংলা ভাষায় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুর্গম কোনো স্থান অথবা মানুষের জন্য নিরাপদ নয় এমন সবস্থানে এটি পাঠিয়ে ভেতরের খবর জানার কাজে ব্যবহার করা যাবে।
আরো জানান, পুরো সিস্টেমটি বাংলা ভাষা শনাক্তকরণে স্মার্টফোন অ্যাপ এবং বাইপেডাল রোবট এই দুটি অংশে তৈরি হয়েছে। উইন্ডোজ স্মার্টফোনে প্রথমে অ্যাপটি ইন্সটলের পর অ্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইলের স্ক্রিনে স্পর্শে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। এরপর মোবাইলের সামনে বাংলায় কথা বললে রোবটটি কাজ করা শুরু করবে। যেমন ‘সামনে’ বললে সামনের দিকে হেঁটে এগিয়ে যাবে আর ‘থামো’ বললে থেমে যাবে। ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোবটটি দিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশেও কাজ করানো যাবে বলেন সম্রাট।
শামসুল আলম বলেন, পর্যাপ্ত বাজেট এবং সময় নিয়ে এ ধরনের রোবটের আরো উন্নত করা যায়। একটি শিল্প কারখানায় একই ব্যক্তিকে একই ধরনের কাজ মাসের পর মাস করতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এসব রোবট ব্যবহার করা যাবে। ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো নগরীর ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক বলেন, রোবট নিয়ে শিক্ষা-গবেষণায় চুয়েট অনেক দূর এগিয়েছে। এটি তারই ফসল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৪