ঢাকা: অপোর গল্পটি ভিন্ন রকমের। মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের চেয়ে ভিন্নতর আর অভিনবই মনে হলো।
ইংরেজিতে ওপিপিও। নামটি অপো কেনো? সে প্রশ্নের উত্তর দিলেন ঢাকায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেভি ই। হাসি ছড়িয়ে বললেন, কোনো অর্থ নেই। আবার পুরোটাই অর্থপূর্ণ। অপো মুলত অপরচুনিটি। মোবাইল ফোন সেটের বাজারে নতুন নতুন সুবিধা নিয়ে আসছে অপো, বললেন নেভি ই।
অপো এরইমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবেই নাম ছড়িয়েছে। গ্লোবাল রেজিস্টার্ড টেকনোলজি ব্র্যান্ড এই অপো। নিজের দেশ চীন ছাড়াও উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ আর এশিয়ায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অপো জনপ্রিয়। বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাই অপোর সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশে কতটুকু সম্ভাবনা দেখছেন? সে প্রশ্ন তো আলোচনার টেবিলে উঠবেই। উত্তরটিও জানা অপো’র কর্তা ব্যক্তিদের। সহজ সমীকরণ! বাংলাদেশ মোবাইল ফোনের একটি বড় বাজার। এদেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর ভালো সুন্দর ও কাজের মোবাইল ফোনসেট কে না চায়। অপো সেই চাহিদার স্মার্ট ফোন নিয়ে আসছে। আর সে কারণেই আমরা এখানে, বললেন ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড ম্যানেজার মাইকেল।
জানালেন ২০০৪ সালে অপোর যাত্রা শুরু হলেও মোবাইল ফোনের মার্কেটে পা রাখে ২০০৮ সালে। এরপর থেকে প্রযুক্তির এই ডিভাইসটিতে নতুন নতুন ফিচার আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সর্বোচ্চ মান এবং গ্রাহকবান্ধব পণ্যই আমাদের প্রতিশ্রুতি, যোগ করলেন মাইকেল।
রাজধানীর নিকেতনে অপোর সুসজ্জিত অফিস তাদের বক্তব্যের সঙ্গে মিল দেখায়।
মাইকেল আরও জানালেন, এরই মধ্যে ঢাকায় তারা শতাধিক সদস্যের দল গঠন করে কাজ শুরু করেছেন। এই শক্তি ক্রমেই বাড়ছে।
সবশেষ প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে গ্রাহককে নতুন কিছু দিতেই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বলেন নেভি ই।
অনলাইন ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ হিসেবে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন সাদমান তানভীর। তাকে সঙ্গে নিয়ে মাইকেল বাংলানিউজের কাছে তুলে ধরছিলেন অপো মোবাইল সেটের ব্যতিক্রমী দিকগুলো। আকর্ষণীয় দিকগুলোর অন্যতম হচ্ছে এর ঘোরানো-ফেরানো ক্যামেরা।
সেলফি ক্রেজের এই যুগে নিজের ছবি নিজে তুলতে এই রোটেটিং ক্যামেরা খুবই উপযোগী। আরও আছে এর শব্দ ও ছবির মান। আর সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে এর দ্রুত চার্জ দেওয়ার সুযোগ। মাত্র ত্রিশ মিনিটেই অপোর যে কোনো সেট ৭৫ ভাগ চার্জ নিয়ে নিতে পারে। আর পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে পরবর্তী দুই ঘণ্টার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারবেন অপোর ব্যবহারকারী।
অপো বাজারে মোবাইল ফোন হ্যান্ড সেটের জন্য যে সবশেষ প্রযুক্তি আসে সেটিরই প্রয়োগ নিশ্চিত করে। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমানতালে সবশেষ হার্ডওয়্যার ব্যবহারও অপোর প্রতিশ্রুতি, বলেন মাইকেল।
২০১২ সালের মাঝামাঝি অপো বাজারে নিয়ে আসে ৬.৫ মিলিমিটারের ‘অপো-ফাইন্ডার’। তখন এটিই ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা আকারের স্মার্টফোন। আর ওই বছর শেষের দিকে বাজারে আনে অপো ফাইন্ড-৫। পাঁচ ইঞ্চির ১০৮০ পি ডিসপ্লে আর ১৩ মেগাপিক্সেল‘র সিএমওএস সেন্সর। অপোর দাবি এটিই ছিলো বিশ্বের প্রথম হার্ডওয়্যার সাপোর্টেড এইচডিআর সম্বলিত স্মার্ট ফোন।
গ্রাহকের মন ও মতকে গুরুত্ব দেয় অপো। তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সেগুলোর প্রয়োগ ঘটিয়েই নতুন পণ্য বাজারে ছাড়া হয়, বলেন মাইকেল।
ঢাকায় এরই মধ্যে অপোর শো-রুম চালু হয়েছে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স ও ইস্টার্ন প্লাজায়। ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা দামের উচ্চ মানসম্পন্ন ফোনসেট মিলছে এই শো-রুম দুটিতে।
বাংলাদেশ সময় ১১৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৪