ঢাকা: আগামী পাঁচ বছরে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতে দুই লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দেশের প্রথম বিপিও সামিট’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিপিও সামিট’র আয়োজন করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং।
জয় বলেন, তৈরি পোশাকশিল্প খাত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি খাত পোশাকশিল্প খাতকেও ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে বিপিও আউটসোর্সিংয়ে আয় হচ্ছে ১০০ মিলিয়ন ডলার। আগামীতে সেটা এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।
তিনি আরও বলেন, আউটসোর্সিংয়ে সবচেয়ে ভালো সুযোগ রয়েছে তরুণদের। সরকার বিপিও’র মাধ্যমে ভবিষ্যৎ তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চায়।
![](files/December2015/December09/BPO_bg_552982786.jpg)
তথ্য-প্রযুক্তিতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয় বলেন, ছয় বছর আগে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেছিলাম তখন কিছুই ছিল না। প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের আজকের অগ্রগতি কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ছয় বছর আগে প্রযুক্তি খাতে বছরে মোট রপ্তানি ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। এবং কর্মসংস্থান ছিল মাত্র কয়েক হাজার। এ খাত থেকে বর্তমানে বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় হচ্ছে। দুই লাখের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিপিও সেক্টরে তরুণদের কর্মসংস্থান হয়েছে ২৫ হাজারের ওপরে।
এ খাতে ছয় বছর আগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সময়ে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে বিপিও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কোনো সুযোগ ছিল না। ইন্টারনেটের দাম এতো বেশি ছিল যে, বড় প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতো না। ছয় বছর আগে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, বর্তমানে তা কমিয়ে ছয়শ’ টাকা করা হয়েছে।
জয় বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি খাতে আউটসোর্সিং করা অসম্ভব। বর্তমানে বিদ্যুতের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি খাতও এগিয়েছে। এখন এ খাতে বছরে কয়েক হাজার গ্রাজুয়েট তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব রয়ে গেছে।
![](files/December2015/December09/BPO_24_620876499.jpg)
গত বছর দেশের আইসিটি বিভাগ ৩০ হাজার আইটি গ্রাজুয়েটকে প্রশিক্ষণ দিলেও আগামী বছর থেকে ৫০ হাজার গ্র্যাজুয়েটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, জানান তিনি।
যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমেদ, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ও টেকনোলজি ব্যবসা বিশেষজ্ঞ স্যানটিয়াগো গুটায়ারেজ, ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি আহমেদুল হক ববি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
** আইটি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা পোশাক খাতকে ছাড়াবে
** প্রতি বছর ৫০ হাজার তরুণকে আইটি প্রশিক্ষণ
** প্রথমবারের মতো বিপিও সম্মেলন শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৫
এমএইচপি/আরএম