লঞ্চ করা দুই সিমের অন্য দু’টি মডেলের চাহিদাও বাজারে কম নয় উল্লেখ করে এ বিষয়ে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলও সবচেয়ে বেশি সেল আশা করছে আইফোন-১০ আর থেকে।
শীর্ষস্থানীয় এ প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, এবার লঞ্চ করা তিনটি মডেলেই চাহিদা বেড়েছে।
আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে আইফোন-১০ আর-এর সেল শুরু হবে। আর এ সময়ের মধ্যে মডেলটির প্রায় ২০ মিলিয়ন ফোন তৈরি করবে অ্যাপেল।
৬.১ ইঞ্চি বড় ইডিজিই টু ইডিজিই এলসিডি ডিসপ্লেসহ অনেক ভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আইফোন-১০ আর-এ। পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে এটির দামও কম। এছাড়া এটি পাওয়া যাবে ব্ল্যাক, হোয়াইট, রেড, ইয়েলো, কোরাল ও ব্লু এ ছয় রঙে। ধারণক্ষমতা ৬৪, ১২৮ ও ২৫৬ গিগাবাইট। আর এসব কারণেই এর চাহিদা অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। এশিয়া দেশ চীনে ইতোমধ্যেই এর চাহিদা অন্যগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট বলছে।
ওয়েবসাইটগুলো বলছে, আইফোন-১০ এস ভালো করে বাজার ধরতে পারবে না। এর প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন, এ মডেলটি দেখতে আইফোন-১০ এর মতো। ফিচারও অনেকটা না-কি একইরকম। যদিও এতে ‘এ১২ বিওনিক চিপ’ সংযোজন এবং ক্যামেরা সিস্টেমের উন্নতি করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকদিন ধরেই আইফোন-১০ আর নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছিল গ্যাজেট ওয়ার্ল্ডে। এখন তা বাস্তব। ৬.১ ইঞ্চির এই ফোনটির আউটলুক তাক লাগিয়ে দিয়েছে মোবাইল দুনিয়াকে। পাশাপাশি ফোনটি ধরলে এলসিডি ডিসপ্লের তফাৎটা চোখে পরবে না। তারপর আবার মডেলটিতে রয়েছে একচেটিয়া কয়েকটি রঙও। যা নতুন প্রজন্মের কাছে আকর্ষণী হতে পারে।
তবে ফোনটির সামনের অংশ হুবহু আইফোন ১০-এর মতোই। পেছনের দিকটি আইফোন ৮ কে নকল করেছে অ্যাপল নিজেই।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারতিনোর স্টিভ জবস থিয়েটারে নতুন প্রজন্মের স্মার্টফোন তিনটি লঞ্চ করে অ্যাপল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
টিএ