দীর্ঘ বক্তৃতার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গান গেয়ে শোনানোর প্রতিশ্রুতিও দিলেন। আধা ঘণ্টার বেশি বক্তব্য দিয়ে নিজের আসনে বসতে উদ্যত হতেই ‘গান গান’ বলে আওয়াজ তুললো শিক্ষার্থীরা।
অতিথিদের উপস্থিতিতে শতাধিক শিশু-শিক্ষার্থীর অনুরোধে খালি গলাতেই গান ধরলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
‘আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোতে এসেছে,
আজ যে শিশু মায়ের হাসিতে হেসেছে,
আমরা তার জন্য একটি সাজানো বাগান চাই
রেল লাইনের পাশে নয়, অন্ধকার সিঁড়িতেও নয়
প্রতিটি শিশু মানুষ হোক আলোর ঝর্না ধারায়...। ’
বয়সে তরুণ, মন্ত্রিসভায় একেবারে কনিষ্ঠ সদস্য প্রতিমন্ত্রী পলক। মাঝে মধ্যেই দেখা যায় তিনি কোনো অনুষ্ঠানে গান গাইছেন। মিউজিক সিস্টেমে মানিয়ে নেন বেশ ভালো।
তবে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউজের হলরুমে তিনি গেয়েছেন খালি গলায়। ছিল না মিউজিক সিস্টেম। গানের তালে তালে শিশু-শিক্ষার্থীসহ উপস্থিত সবাই তালি বাজিয়ে সুরের আবহ তৈরি করেন।
গানে গানে মূলত শিশু-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সুন্দর পৃথিবীকে শিশুর আবাস উপযোগী করারই বার্তা দেন পলক। কয়েক লাইনের গান শেষে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে উপস্থিত অতিথিরাও তালি দিয়ে মুখর করে তুলেন হলরুম।
গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ এবং ইউনিসেফের উদ্যোগে চাইল্ড অনলাইন সেফটি কর্মসূচির এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেডার, গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান, সিসিএও মাহমুদ হোসেন, টেলিনরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাসটেনাবেলিটি অ্যান্ড চাইল্ড অনলাইন সেফটি স্পেশালিস্ট ওলা য়ো তান্দ্রে।
অনলাইনে সেফটির এই যৌথ উদ্যোগে দেশের চার লাখ শিশুকে ইন্টারনেট সেফটির বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও সচেতন করা হবে।
**চালু হলো চাইল্ড অনলাইন সেফটি কর্মসূচি
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএ