ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফেসবুকে বেড়েছে ‘হেট কনটেন্ট’ ও ‘বুলিং’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
ফেসবুকে বেড়েছে ‘হেট কনটেন্ট’ ও ‘বুলিং’

ঢাকা: বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ছবি প্রকাশের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রামে বেড়েছে ‘হেট কনটেন্ট’ ও ‘বুলিং’ এর মতো ঘটনা।

২০২০ সালের শেষ তিন মাসের তুলনায় ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মাঝে এমন প্রবণতা দেখছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিক অর্থ্যাৎ প্রথম তিন মাস সময়ের কমিনিউটি স্ট্যান্ডার্ড এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট গায় রোসেন প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দেখা যা, ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে অর্গানাইজড হেট কনটেন্ট বা সংগঠিত ঘৃণাবাচক কনটেন্ট, সাইবার বুলিং ও হয়রানির মতো অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়েছে। তবে হেট স্পিচ বা ঘৃণামূলক বক্তব্যের পরিমাণ কমেছে।

২০২০ সালের শেষ তিন মাসে ফেসবুকে সাইবার বুলিং ও হয়রানিমূলক কনটেন্ট ছিল প্রায় ছয় দশমিক তিন মিলিয়ন। ইন্সটাগ্রামে এর পরিমাণ ছিল প্রায় পাঁচ মিলিয়ন। তবে ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে সেটি বেড়ে ফেসবুকে হয় প্রায় আট দশমিক আট মিলিয়ন। আর ইন্সটাগ্রামে এর পরিমাণ ছিল পাঁচ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন।

অর্গানাইজড হেট কনটেন্ট ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে ফেসবুকে ছিল প্রায় ৬.৪ মিলিয়ন; ইন্সটাগ্রামে তিন লাখ আট হাজারটি। ২০২১ সালে এসে এটি বেড়ে ফেসবুকে হয় ৯.৮ মিলিয়ন আর ইন্সটাগ্রামে হয় তিন লাখ ৩৪ হাজার ৫০০টি।

তবে উভয় প্ল্যাটফর্মেই কমেছে হেট স্পিচ কনটেন্টের পরিমাণ। ২০২০ সালে ফেসবুকে এটি ছিল ২৬.৯ মিলিয়ন যেটি ২০২১ সালে কমে হয় ২৫.২ মিলিয়ন। ফেসবুকের সব কনটেন্টের মধ্যে হেট স্পিচ কনটেন্টের হার ছিল শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ থেকে শূন্য থেকে শুন্য দশমিক ছয় (০.০৫-০.০৬) শতাংশের মধ্যে। অর্থ্যাৎ প্রতি ১০ হাজার কনটেন্টের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি কনটেন্ট হেট স্পিচ দেখা যায়। আর ইন্সটাগ্রামে এটি ছিল ৬.৬ মিলিয়ন যেটা ২০২১ সালে কমে হয় ৬.৩ মিলিয়ন।

ফেসবুক জানায়, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মেট্রিক্স কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের কোনো ধরনের রিপোর্ট ছাড়াই এসব কনটেন্ট শনাক্ত ও মুছে ফেলতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালের শেষ প্রান্তিক থেকে ফেসবুক এমন কনটেন্ট শনাক্ত ও মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। প্রথমবারেই ফেসবুক নিজে থেকে ২৩.৬ শতাংশ কনটেন্ট শনাক্ত ও মুছে ফেলতে সক্ষম হয়।

এসব কনটেন্ট ছাড়াও হিংস্র গ্রাফিক্স কনটেন্ট এবং প্রাপ্তবয়স্ক নগ্নতামূলক কনটেন্টের হারও প্রকাশ করে ফেসবুক। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রাপ্তবয়স্ক নগ্ন কনটেণ্টের পরিমাণ ছিল শূন্য দশমিক শূন্য তিন থেকে শূন্য দশমিক শূন্য চার (০.০৩-০.০৪) শতাংশের মধ্যে। হিংস্র গ্রাফিক্স কনটেন্ট ইন্সটাগ্রামে ছিল শূন্য দশমিক শূন্য এক থেকে শূন্য দশমিক শূন্য দুই (০.০১-০.০২) শতাংশের মধ্যে। আর ফেসবুকে এর হার ছিল শূন্য দশমিক শূন্য তিন থেকে শূন্য দশমিক শূন্য চার (০.০৩-০.০৪) শতাংশের মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।