রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। ইউলিয়া শাপোভালোভা নামে মস্কো থেকে এক সাংবাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে। খবরে বলা হয়, সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা বলছেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের হদিস অজানা। আগামীকে কি হতে পারে সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
শাপোভালোভা বলেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে; কী ঘটে দেখতে হবে। প্রিগোজিনের ‘হদিস নেই’ বিষয়টি বেশ রহস্যময়। এটিকে সম্ভবত রাশিয়ার জাতীয় তদন্ত কমিটি ও গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির ব্যাপক অবাধ্যতা বলা যেতে পারে।
রোস্তভ শহর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে দেখা যায়নি ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে। এরপর সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভার এমন ভাষ্য, জলঘোলা করছে।
এদিকে, বিদ্রোহের ঘটনায় প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলা সচল রয়েছে। মামলার তদন্তও চলছে। সোমবার (২৬ জুন) এসব তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার দৈনিক কমার্স্যান্টসহ দেশটির তিনটি প্রধান সারির সংবাদ সংস্থা। অবশ্য, অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে তারা এ খবর দেয়।
অপরদিকে, লুহানস্কে সম্মুখসারির সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু। এর আগে তার পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু ইউক্রেনে সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ তার পদত্যাগের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড কাঠামোর আওতায় আনতে চাওয়ায় বিদ্রোহ করে বসেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তবে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় তিনি বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন। ক্রেমলিন জানায় প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাবেন। কিন্তু চুক্তির পর থেকে তাকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এক কথায় তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিষয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস বলছে, প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলার তদন্ত চলমান। রাশিয়ার আইনে এই ধরনের অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির ১২-২০ বছরের সাজা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
এমজে