ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের হাহাকার, সেনাবাহিনী নীরব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের হাহাকার, সেনাবাহিনী নীরব

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। হঠাৎ করেই সেখানে পুনর্গঠন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

ওই এলাকায় দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মোখা রাখাইনের বিস্তৃত অঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে নিহত হয় কয়েক শ’ মানুষ।

বিবিসি জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পর থেকে দুর্গতদের জন্য সাহায্য কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বাসিন্দারা পর্যাপ্ত পানি ও খাবারের অভাবে ভুগছেন।

জাতিসঙ্ঘের মানবিক দফতর জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর একটি অংশ মেরামত করা হয়েছে।

জান্তা সরকার ১৪৫ জন নিহতের কথা বললেও স্বঘোষিত জাতীয় ঐক্য সরকারের ধারণা এ সংখ্যা ৫০০-র কাছাকাছি।

রাখাইনের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বলেছে, ঝড়ে দুই হাজারেরও বেশি গ্রাম এবং দুই লাখ ৮০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

মিয়ানমারের ৫৪ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথে ছিল, তাদের মধ্যে প্রায় ৩২ লাখকে ‘সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করেছিল জাতিসংঘ। রাখাইন দেশটির অন্যতম দরিদ্র রাজ্য। এ অঞ্চলের রোহিঙ্গাদের বড় অংশের বাস।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে এ রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৭৮ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। মিয়ানমারের সেনা শাসক এ অঞ্চলে ত্রাণ গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করায় গত ৮ জুনের পর তাদের পক্ষে সাহায্য দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

ক্ষমতাসীনরা এ নিষেধাজ্ঞার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে রাখাইন সরকারের একজন মুখপাত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, এনজিওগুলো সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। তারা শুধু রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে আগ্রহী।

এ অভিযোগের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি সংস্থাগুলো। তবে রোহিঙ্গাদের সাহায্যের বিষয়টি নিষেধাজ্ঞায় ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিবিসিকে জানান তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে রাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে বাংলাদেশের তেমন ক্ষতি না হলেও মিয়ানমারের বেশ ক্ষতিসাধন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।