করাচি: পাকিস্তানের করাচির একটি মাজারে জোড়া বোমা হামলায় দুই শিশুসহ আট জন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসলাম ধর্মের আধ্যাত্মিক সাধক আব্দুল্লাহ শাহ গাজীর মাজারের প্রবেশ মুখে বোমা দুটি বিস্ফোরিত হয়। শহরটির সমুদ্র তীরবর্তী কিফটন জেলায় অবস্থিত এ মাজারে এসময় সাপ্তাহিক প্রার্থনার জন্য ভক্তদের ভিড় ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী গুল মোহাম্মদ জানান, পর পর দুটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দে তিনি ছুটে যান। তিনি বলেন, ‘আমি ভেতরে ছূটে যাই এবং চারদিকে রক্ত-মাংস দেখতে পাই। এর মধ্যে কিছু মৃতদেহ পড়ে ছিলো ও আহতরা ব্যথায় আর্তনাদ করছিলেন। ’
গুরুতর আহত ১০ জন নারী ও ৭ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে করাচির বেসামরিক হাসপাতালের চিকিৎসক সেমিন জামালি জানান।
সিন্ধুর প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার মির্জা বলেন, ‘এটা একটি সন্ত্রাসী হামলা। নিরাপত্তার স্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে সরকার শহরের সব মাজার বন্ধ করে দিয়েছে। ’
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও মূলত তালেবান জঙ্গিদেরই এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সংগ্রামে যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে বলে জানান দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনের।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের চালকবিহীন বিমান হামলায় পাকিস্তানের তিন সেনা সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে পাকিস্তান দেশটির আফগান সীমান্তে ন্যাটোর সরবরাহ পথ বন্ধ করে দেওয়ার পর মিত্র দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১০