সিএনএন: আলমারিতে ঝোলানো জামা কাপড় চোখের সামনে ভেসে উঠছে। তাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর করমর্দন করবো ও জড়িয়ে ধরবো।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানালেন চিলির খনিতে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত উদ্ধারকর্মী ব্রেনডন ফিশার।
ফিশার বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে। তাদের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পর তাদেরকে কি বলবো। ’
খনিতে আটকে পড়ার ৩৩ শ্রমিককে উদ্ধারে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ফিশার ও যুক্তরাষ্ট্রের খননকারীদের ছোট একটি দল প্ল্যান বি’র আওতায় ২ হাজার ৩০০ ফুট নিচে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাধারণত পানির কূপ খননকারী টি-১৩০ নামের যন্ত্রটি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নির্ধারিত দূরত্ব থেকে ৬১ মিটার দূরে ছিলো বলে ফিশার জানান।
বার্লিন ও পেনসালভিনিয়া ভিত্তিক সেন্টার রক ইনকরপোরেশনের কর্মী ফিশার। তেল, গ্যাস ও পানির কূপ খনন করে থাকেন। এমনকি ২০০২ সালে কুয়েরিক খনিতে চারদিন ধরে আটকে থাকা ৯ শ্রমিককে উদ্ধারেও অংশ নেন তিনি।
ফিশার বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। নিচে তাকালে আপনার মনে হবে ২ হাজার ফুট নিচে আটকে থাকা ব্যক্তিরা এখানকার তুলনায় কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছেন। ’
তবে ৩৩ জন মানুষকে উদ্ধার করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও আটকে পড়া শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দুর্ভোগের কথা ভেবে তারা উদ্ধার তৎপরতা যথাসাধ্য বাড়িয়ে চলেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা রাত জেগে প্রার্থনার জন্য খনির বাইরের একটি জায়গা বাছাই করেছেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্যাম্প হোপ। ’
গত ৫ আগস্ট ভূগর্ভস্থ সোনা ও তামার খনিতে কাজ করতে গিয়ে আটকা পড়েন এ শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১০