কোপিয়াপো: আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। এরপর অবসান ঘটবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার।
প্রকৌশলী আন্দ্রে সোগারেত বলেন, প্রকৌশরীরা উদ্ধারকাজের শেষ ধাপে পৌছে গেছেন। শেষে ধাপের জন্য খননযন্ত্র খুবই সতর্কতার সঙ্গে পরিবর্তন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শেষ ধাপটি বিপজ্জনক। যখন আমরা শক্ত পাথরটি ভেঙ্গে ফেলবো তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে কেউ কেউ আহত হতে পারে। তবে আমরা ক্যামেরা নিচে নামিয়ে দেখবো। নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবো যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
খনিমন্ত্রী লরেন্স গোলবর্ন উদ্ধার কাজের অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ শুরু করতে আরও তিন থেকে আটদিন সময় লাগতে পারে।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইমে মানালিচ উদ্ধারের দিন মঙ্গলবার ধার্য করেছেন। তিনি শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, সম্ভবত মঙ্গলবার প্রথম খনি শ্রমিককে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনা হতে পারে।
এদিকে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন খনি শ্রমিকদের পরিবার। একজন আটকে পড়া শ্রমিকের স্ত্রী হেসিকা ইয়ানেস বলেন, ‘ আমি খুব খুশি। ৮ দিন পর আটকে পড়াদের উদ্ধার করা হবে। কিন্তু আমি বেশি আনন্দিত হবো যখন তাদের বের করে আনা হবে’।
ক্যাম্প হোপে অপেক্ষমান শ্রমিক পরিবারের পক্ষ থেকে এই শিল্পকে ঢেলে সাজানোর আহবান জানানো হয়েছে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, এধরনের দুর্ঘটনার জন্য শুধু মাত্র শ্রমিকরাই প্রাণ দিয়ে থাকে। আজ পর্যন্ত কোনা মালিক এজন্য জেল খাটেননি।
গত ৫ আগস্ট ভূগর্ভস্থ সোনা ও তামার খনিতে কাজ করতে গিয়ে প্রায় ৭০০ মিটার নিচে আটকে পড়েন এ শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১০