জাতিসংঘ: ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে গতকাল সোমবার বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইরান আগামী দুই মাসের জন্য সবধরনের পরমাণু আলোচনা বন্ধের ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই জাতিসংঘের এ আলোচনা শুরু হয়।
আনুষ্ঠানিক এ বৈঠকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদকে একটি প্রতিবেদন দেয়া হয়। ইরানের বিরুদ্ধে অনুমোদিত সবধরনের শাস্তি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলি যেন ইরানের বিরুদ্ধে নেয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে সেজন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরীর বিষয়টি প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস আশাপ্রকাশ করেন ‘চলতি গ্রীষ্মের শেষের দিকে’ এ প্যানেলটি কার্যকর হবে। রাইস বলেন, “সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্যানেলটি এ বিষয়ে আমাদের চোখ আর কানের ভূমিকা পালন করবে। ইরানের রিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিশ্চিত করার বিষয়টি জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের দায়িত্বের মধ্যে পরে। ”
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন সাংবাদিকদের বলেন, টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক জি-২০ সন্মেলনে তিনি ইউরোপিয় নেতাদের সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন “এ বিষয়টির একটি সম্ভাব্য সমাধানের জন্য আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে আবেদন জানিয়ে যাবো। ”
এদিকে গত সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহ্মুদ আহ্মেদিনেজাদ বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞা ও খারাপ ব্যবহারের কারণে আমরা আলোচনা স্থগিত করেছি। বিশ্ব শক্তিগুলির জন্য এটা একটা শাস্তি যেন তাঁরা অন্য দেশের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় তা শিখতে পারে। ”
উল্লেখ্য, পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের আশঙ্কা পরমানু কর্মসূচীর মাধ্যমে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে। তবে, ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় :১০৪৮ ঘন্টা, ২৯ জুন, ২০১০
এসআইএস/ডিসি