জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ফিলিস্তিনে নিযুক্ত দূত ডমিনিক অ্যালেন জানিয়েছেন, গাজায় আর কোনো স্বাভাবিক আকারের শিশু জন্ম নিচ্ছে না। তিনি জানান, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে যে চিত্র দেখা গেছে, তা কেবল ‘দুঃস্বপ্নের’ সঙ্গেই তুলনীয়।
তিনি আরও জানান, গাজার হাসপাতালগুলোয় যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে, তারা আকারে অনেক ছোট এবং খুবই দুর্বল অবস্থায় জন্ম নিচ্ছে আর মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশন করা হচ্ছে পর্যাপ্ত অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই।
উত্তর গাজা পরিদর্শন শেষে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ইউএনএফপিএর এই কর্মকর্তা বলেন, চিকিৎসকেরা বলছেন তারা আর স্বাভাবিক আকারের কোনো শিশুর জন্ম দেখছেন না। তারা যা দেখছেন, দুঃখজনকভাবে তা হলো—আরও বেশি বেশি মৃত শিশুর জন্ম এবং নবজাতকের মৃত্যু। যেগুলো অপুষ্টি, পানিশূন্যতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ঘটছে। কোনো বডি ব্যাগে নয় সেই সব শিশুর থাকার কথা ছিল তাদের মায়েদের কোলে।
এ সময় তিনি গাজায় আরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ ও ত্রাণ পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সপ্তাহে গাজার ১০ লাখ নারী ও কিশোরীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে গাজা ছেড়ে যাচ্ছি এবং বিশেষ করে প্রতিদিন গড়ে যে ১৮০ জন নারী সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, তাদের জন্যও আমি আতঙ্কিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
এমএম