যুদ্ধ পরবর্তী গাজার জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে মিশর, যেখানে অঞ্চলটির শাসন ব্যবস্থা থেকে হামাসকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনায় ছয় মাসের জন্য পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মিশরে আরব নেতাদের এক সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভাইদের সহায়তায়, মিশর স্বাধীন পেশাদার এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কমিটি গঠনের জন্য কাজ করেছে, যারা তাদের দক্ষতা দিয়ে গাজা শাসন করবে। আর নিরাপত্তার জন্য মিশর ও জর্ডান ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তিনি জানান, একটি ‘অস্থায়ী সময়ের’ জন্য এই কমিটি ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি এবং গাজা শাসনের দায়িত্ব পালন করবে, যা পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পিএ-এর অধীনে থাকবে এবং এর সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না।
জর্ডানের সরকারি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে উপস্থাপন করা হবে। মিশরের প্রেসিডেন্টের লোগো সম্বলিত ৯১ পৃষ্ঠার ‘গাজা ২০৩০’ নামে এই প্রস্তাবটি ট্রাম্পের ‘গাজা রিভারিয়া’ পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। ৫৩ বিলিয়ন ডলার বাজেটের এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য গাজার ফিলিস্তিনিদের নিরাপদে রাখা এবং তাদের বাস্তুচ্যুত না করা।
মিশরের এই পুনর্গঠন পরিকল্পনায় অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে শপিং মল, একটি বিমানবন্দর এবং পর্যটন বৃদ্ধির জন্য রিসোর্ট নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরিকল্পনায় ধ্বংসাবশেষ অপসারণ ও অস্থায়ী বাসস্থানের জন্য ৩ বিলিয়ন ডলার, ইউটিলিটি ও স্থায়ী আবাসনের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার এবং একটি সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর ও শিল্পাঞ্চল গঠনের জন্য ৩০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। পরিকল্পনায় গাজা ও পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে হামাস বলছে তারা অস্ত্র ছাড়বে না, দলটির কর্মকর্তারা বলছেন,নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার বিষয় নয়। তবে ফিলিস্তিনি ঐক্যমতের ভিত্তিতে গাজার শাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৫
এমএম