ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার ফোনে কথা বলেছেন। জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন পুতিন।
ক্রেমলিন জানায়, ফোনালাপে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, দুই পক্ষ (রাশিয়া-ইউক্রেন) যেন ৩০ দিন জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা থেকে বিরত থাকে।
ভ্লাদিমির পুতিন এই প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে নেন এবং সঙ্গেসঙ্গেই রুশ সামরিক বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা দেন।
ক্রেমলিন আরও জানায়, রুশ প্রেসিডেন্ট কৃষ্ণ সাগরে নৌ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতিও গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া জানান।
১৯ মার্চ রাশিয়া ও ইউক্রেন ১৭৫ জন যুদ্ধবন্দির বিনিময় সম্পন্ন করবে এবং রাশিয়ায় চিকিৎসাধীন ২৩ জন গুরুতর আহত ইউক্রেনীয় সেনাকে হস্তান্তর করা হবে।
ক্রেমলিন দাবি করেছে, ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় ইউক্রেন নতুন করে সেনা সমাবেশ বা পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারবে না।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। শান্তিপূর্ণভাবে এই সংঘাতের অবসান ঘটা প্রয়োজন বলে তারা সম্মত হন।
তারা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করার গুরুত্বও তুলে ধরেন। এই দুই নেতা আরও উল্লেখ করেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া এই যুদ্ধে যে জীবন ও সম্পদ ব্যয় করছে, তা তাদের জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত।
তারা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উন্নত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিশাল। এতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর অনেক অর্থনৈতিক চুক্তি ও ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।
পুতিন ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা বন্ধ রাখতে সম্মত হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বা অন্য কোনো ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
আরএইচ