বেইজং: চীন সোমবার জাতীয় আদমশুমারি শুরু করেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশটির এই কাজে ৬০ লাখের বেশি গণনাকারী কাজ করছেন।
গত বছর অনুমান করা হয়েছিলো, চীনের জনসংখ্যা ১৩০ কোটির ছাড়িয়ে গেছে।
গণনাকারীরা কর্মরত ব্যক্তির কাছে ও বাড়িতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবেন। এসব তথ্য থেকে অভূতপূর্ব নগরায়ন চিত্র পাওয়া পাবে এবং বিতর্কিত পরিবার পরিকল্পনার ‘এক শিশু’ নীতির পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানা যাবে।
সরকারি কর্মকর্তারা স্বীকার করে জানিয়েছে যে, ১০ বছরে একবার অনুষ্ঠিত এই আদমশুমারি জনগণের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গমনের ফলে অত্যন্ত কঠিনই হবে। আইনী জটিলতার কারণে স্থানান্তরকারী লোকজনের কাছ থেকে সহজে তথ্য পাওয়া যাবে না।
আদমশুমারি বিষয়ক কর্মকর্তা ফেং নাইলিন বলেন, ‘এর আগের বারের তুলনায় অনেক লোকই তথ্য দিতে চাচ্ছে না। কারণ হতে পারে, আগের চেয়ে জীবন এখন অনেক গতিশীল হয়েছে। গোপনতা বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। ’
চীনে প্রায় ২১ কোটি ভাসমান লোক রয়েছে। তারা শহরে-গ্রামে কাজ ও ভালো জীবনের খোঁজে ছুটে বেড়ায়।
বেইজিংয়ের শহরতলীতে স্ত্রী-সন্তানের নিয়ে বসবাসরত তান জিয়ানগুয়ো (৩৫) বলেন, ‘গণনাকারীদের এড়িয়ে চলা খুব কঠিনই হবে। সেসময় কী করব আমি বুঝতে পারছি না। লুকিয়ে থাকতে পারি আবার তথ্য দিতেও পারি। ’
২০০০ সালে চীনের জনসংখ্যা গণনা করা হয়েছিলো ১২৯ কোটি। ১৯৫৩ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৫৯ কোটি ৪০ লাখ।
চীনে এবার প্রথমবারের মতো বিদেশি জনসংখ্যা গণনা করা হবে। চীনা ছাড়াও ইংরেজি, ফরাসি ও জার্মান ভাষাতেও ফরম পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১০