৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের মধ্যেই রাশিয়া এক রাতে শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, এমন দাবি ইউক্রেনের। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রাশিয়া মোট ১০৮টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। হামলা চালানো ড্রোনগুলোর মধ্যে ৩০টি ছিল ‘সিমুলেটর ড্রোন’। এই ড্রোনগুলো কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি।
ইউক্রেনের সামরিক প্রশাসন বলছে, ড্রোন হামলায় দক্ষিণের ওডেসা অঞ্চলে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং কিছু আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া, পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে রেল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক ট্রেনচালক আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের জাতীয় রেল সংস্থা বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করা হচ্ছে, শত্রুপক্ষ এখনও রেলপথের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার কিয়েভ সফরকালে ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের নেতারা রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন সোমবার থেকে নিরশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। শান্তি আলোচনা শুরুর পথ তৈরি করতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রও এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে।
ইউরোপীয় নেতাদের প্রস্তাবে সরাসরি সাড়া না দিয়ে রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১৫ মে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা নতুন কোনো যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হতে পারি—আমরা সেই সম্ভাবনা নাকচ করছি না।
প্রথমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া জরুরি—এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পরে জানান, তিনি তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুত। তবে রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত না হয়, সেক্ষেত্রে তিনি বৈঠকে অংশ নেবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি।
আরএইচ