ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব ও এশীয় দেশগুলোর কূটনৈতিকদের একটি প্রতিনিধি দল ইসরায়েলি বাহিনীর গুলির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন দেশ। এই ঘটনা ঘটে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে, যেখানে তারা একটি মানবিক মূল্যায়ন মিশনে ছিলেন।
বুধবার প্রতিনিধি দলটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চলমান অভিযান দ্বারা বিপর্যস্ত জেনিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়েছিল। বর্তমানে এই অভিযানের চতুর্থ মাস চলছে, যা ইতোমধ্যে বহু প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি ঘটিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলটি পূর্বনির্ধারিত রুট থেকে সরে গিয়ে অনুমোদনহীন এলাকায় প্রবেশ করেছিল। তাই "সতর্কতামূলক গুলি" চালানো হয়েছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কমান্ডার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দিয়েছেন এবং শিগগিরই কূটনীতিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল জানানো হবে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকা গুলির শব্দে তারা আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয় খুঁজছেন। আল জাজিরার ‘সানাদ’ ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট যাচাই করে নিশ্চিত করেছে, ঘটনাস্থলে অস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে ছিল দুইজন ইসরায়েলি সেনা।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি অনুমোদিত কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে একটি ঘৃণ্য অপরাধ করেছে।
তুরস্ক, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, ও ইতালিসহ ইউরোপীয় ও আরব দেশগুলো এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে।
ফ্রান্স ও স্পেন ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এমএম