ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ পশ্চিমা বিশ্বে নিজেদের ‘সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী’ হিসেবে প্রচার করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই দাবি কেবল প্রচারণা মাত্র, যদি না আপনি সেটাতে বিশ্বাস করেন।
যদিও তারা দাবি করে যুদ্ধের সময় বেসামরিক মানুষের অধিকারের ব্যাপারে আইডিএফ সবচেয়ে বেশি সচেতন। কিন্তু গাজার যুদ্ধাপরাধকে একপাশে রেখে, পশুপ্রেমী, সমকামী-বান্ধব বা ধর্মীয় সহনশীলতার যে চিত্র আইডিএফ তুলে ধরার চেষ্টা করে, এর বাইরেও প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত ইতিহাস অনেক অন্ধকারাচ্ছন্ন। আইডিএফ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা ইতিহাসের একই ধারাবিবরণীর অন্তর্ভুক্ত।
সেই ইতিহাসের কিছু অংশ ‘আইডিএফের জন্ম ও ফিলিস্তিনের রক্তাক্ত ইতিহাস’ শিরোনামে বাংলানিউজে তুলে ধরার হয়েছে। চার পর্বের ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে থাকছে ফিলিস্তিনে জায়নবাদীদের আগমন, বেলফোর ঘোষণা ও হাগানাহ’র গড়ে ওঠা, হেবরনে ১৯২৯ সালের দাঙ্গাসহ কয়েকটি বিষয়।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে এবং আইডিএফ গঠনের পূর্বে, ফিলিস্তিন অঞ্চলে তিনটি সশস্ত্র গোপন জায়নবাদী মিলিশিয়া গ্রুপ ছিল। এগুলো হলো: হাগানা, ইরগুন এবং লেহি।
এই সংগঠনগুলো মূলত ব্রিটিশ অধিকৃত ফিলিস্তিনে অভিবাসিত ইহুদিদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল যেকোনো উপায়ে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তাদের মধ্যে আদর্শগত ও কৌশলগত মতভেদ ছিল এবং তারা কখনো কখনো নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়াতো। কিন্তু একত্রে তারা ফিলিস্তিনের গ্রামগুলোতে সন্ত্রাস, সহিংসতা, জাতিগত নিধন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বোমাবাজি ও গুপ্তহত্যা চালাত। তারা জেরুজালেমে হোটেল উড়িয়ে দেয়, ইউরোপে কূটনৈতিক ভবনে হামলা চালায় এবং জাতিসংঘের একজন মধ্যস্থতাকারীকেও হত্যা করে। এসব ঘটেছিল ১৯৪৮ সালের আগেই।
রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর, এই তিন মিলিশিয়াকে একত্র করে আইডিএফ গঠন করা হয়। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতারা পরবর্তীতে ইসরায়েল সরকারের উচ্চপদস্থ রাজনীতিক, রাষ্ট্রদূত ও প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেন। আর এই প্রক্রিয়ায় তাদের অতীত ইতিহাস ধামাচাপা পড়ে যায়।
ফিলিস্তিনে জায়নবাদীদের আগমন
১৯০০ শতকের শুরুতে ইউরোপ ছিল বিপ্লব, যুদ্ধ ও সামাজিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত। বহু শতাব্দী ধরে ইউরোপে ইহুদিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য চলছিল, তবে রাশিয়াতে তা বিশেষভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তখন বেশিরভাগ ইহুদি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেলেও, প্রায় ৩০ হাজার রুশ ইহুদি ১৮৮২ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে চলে আসে, যা তখন ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ।
এই ইহুদিরা ফিলিস্তিনে পরিচিতি পায় ‘নতুন ইয়েশুভ’ নামে। পুরনো ইয়েশুভরা ছিল মূলত আরব ইহুদি এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধর্মীয় চর্চার উদ্দেশ্যে জেরুজালেমে অভিবাসিত হয়েছিল।
এরা ইউরোপীয় প্রভাবিত জাতিবাদী গোষ্ঠী। তারা ছিল ‘জায়নবাদী’, যাদের বিশ্বাস ছিল, ইউরোপে ইহুদি নিপীড়নের একমাত্র সমাধান ‘নিজস্ব রাষ্ট্র’র মাধ্যমেই সম্ভব এবং সেই রাষ্ট্র হতে হবে ধর্মীয় পবিত্রতার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনে।
নতুন ইয়েশুভরা ছিল উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তারা খামার গড়ে তোলে, শ্রমিক ইউনিয়ন ও পরিষদ গঠন করে, যাতে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জমি কিনতে পারে। পাশাপাশি তারা ছোট ছোট মিলিশিয়া গ্রুপ গঠন শুরু করে, যারা নতুন বসতিগুলো রক্ষায় আরব পাহারাদারদের বদলে ইহুদি প্রহরী নিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতো।
এর মধ্যে ‘বার গিওরা’ ছিল অন্যতম প্রহরী গ্রুপ, যারা ভবিষ্যৎ ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিল। এদের এক নেতা ছিলেন পোল্যান্ড থেকে আসা শ্রমিক ডেভিড গ্রুন, যিনি পরে নাম পরিবর্তন করে হন ডেভিড বেনগুরিয়ান। তিনি ইহুদি শ্রমিক, নিরাপত্তাকর্মী ও অস্ত্র সংগঠনের জন্য অর্থ জোগাড় করতেন।
১৯০৯ সালের দিকে বার গিওরার মতো মিলিশিয়াগুলো ধীরে ধীরে বড় নেটওয়ার্কে রূপ নিতে শুরু করে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘হাশোমের’ বা ‘প্রহরী’। যদিও তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক ডজন, হাশোমের নিজেদের শুধু নতুন ইয়েশুভদের গড়ে তোলা উপনিবেশ বা সম্পত্তির রক্ষা নয় বরং একপ্রকার স্বেচ্ছা-ন্যায়বিচারকারী বাহিনী হিসেবে ভাবতে শুরু করে।
যদি কোনো ইহুদির ওপর কোনো ফিলিস্তিনি আক্রমণ করতো, হাশোমের তার সশস্ত্র সদস্যদের পাঠিয়ে প্রতিশোধ নিতো। মজার ব্যাপার হলো তারা অনুপ্রাণিত ছিল ইউক্রেনের ‘কসাক’ এবং ফিলিস্তিনের বেদুইনদের দ্বারা। তারা ঘোড়ায় চড়ত এবং এমনকি বেদুইনদের মতো ‘কেফিয়া’ মাথায় পরতো— অদ্ভুত, তাই না?
ইতিহাসবিদ ইয়োনি পেলের লেখা ‘ওরিয়েন্টালিজম অ্যান্ড হিব্রু ইমিগ্রেশন’ বইতে বলা হয়েছে, তরুণ জায়নবাদীরা ইহুদি পুরুষের এক নতুন চিত্র গড়ে তুলতে চাইতো এবং ‘ইহুদিরা দুর্বল ও নিষ্ক্রিয়’ প্রচলিত এমন বিরূপ প্রচারণা প্রত্যাখ্যান করতে চাইতো। এদের আদর্শ ছিল ‘মাস্কুলার জুডাইজম’ এবং কৃষি ও যুদ্ধের মাধ্যমে শক্তিমান ইহুদি জাতি গঠনের চেষ্টা।
বেলফোর ঘোষণা ও হাগানাহ’র গড়ে ওঠা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে উসমানীয় সাম্রাজ্য পতনের পর ব্রিটিশরা ফিলিস্তিন নিয়ন্ত্রণে নেয়। সে সময় ফিলিস্তিনে মোট ইহুদি জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ হাজার, যা তখনকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশের মতো।
ইউরোপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আগের অনেক রুশ অভিবাসীরা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছিল, কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হতেই পুরো পরিস্থিতি বদলে গেল। উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন হলো এবং ফিলিস্তিন চলে এলো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর দখলে।
লর্ড আর্থার বেলফোর, যিনি নিজেও একজন খ্রিস্টান জায়নবাদী এবং তখনকার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী; তিনি ঘোষণা দেন ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করা হবে। যা ইতিহাসে ‘বেলফোর ঘোষণা’ হিসেবে পরিচিত।
এর ফলে ‘নতুন ইয়েশুভ’ অঞ্চলে অভিবাসনের একটি বড় ঢেউ সৃষ্টি হয় এবং যুদ্ধ-পরবর্তী দশকে পূর্ব ইউরোপ থেকে প্রায় ১ লাখ ইহুদি অভিবাসী ফিলিস্তিনে চলে আসে।
এ সময়ে স্থানীয় ফিলিস্তিনি আরবরা বুঝতে শুরু করে যে, কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটছে। তারা বেলফোর ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয় এবং অনেকেই এটিকে আরব ভূমিতে একটি ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক পরিকল্পনা হিসেবে দেখতে শুরু করে।
এই সময়টাতে জেরুজালেম ও হেবরনে ইহুদি ভূমি কেনাকাটা বাড়তে থাকে, সেইসঙ্গে ইহুদি ‘কিবুটজ’ বা বসতি নির্মাণও। কিন্তু যে বিষয়টি পরিস্থিতিকে উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়, তা হলো পশ্চিম প্রাচীর (ওয়েস্টার্ন ওয়াল) এবং আল-আকসা প্রাঙ্গণ ঘিরে ধর্মীয় কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়া। যেখানে কিছু চরমপন্থী দাবি করতে থাকে যে, এসব স্থানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে থাকা উচিত।
এই পরিস্থিতি দ্রুত উত্তেজনায় রূপ নেয় এবং ১৯২০ ও ১৯২১ সালে ব্রিটিশ ও ইহুদি অবস্থানগুলোর বিরুদ্ধে দাঙ্গা, সাধারণ ধর্মঘট ও সহিংস সংঘাত শুরু হয়, পরবর্তীতে যা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় পরিণত হয়।
দাঙ্গা শুরু হলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ পাওয়া ইহুদি সৈন্যদের নিয়ে হাশোমের থেকে নতুন ও আরও সংগঠিত বাহিনী তৈরি হয়। পরে এটি হয়ে ওঠে একটি আন্ডার গ্রাউন্ড বাহিনী। তারা বিদেশ থেকে আরও উন্নত অস্ত্র চোরাচালান করতে শুরু করে এবং ১৯৩০-এর দশকে এসে অধিকাংশ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীই এই আধাসামরিক সংগঠনে যুক্ত হয়। সংগঠনটি নতুন ইয়েশুভ-এর ভিত্তি হয়ে ওঠে, এর নাম ছিল ‘হাগানাহ’ অর্থাৎ প্রতিরক্ষা।
হাগানাহ অনেকটাই সেই ‘বার গিওরা’ গ্রুপের স্বপ্নের গোপন সেনাবাহিনী, যাদের একটি ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য লড়াই করার কথা ছিল।
প্রথম দিকে তারা ব্রিটিশদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতো এবং কখনো কখনো ফিলিস্তিনি আরব বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ছোটখাটো লড়াইয়ে ব্রিটিশদের পাশে থেকেও যুদ্ধ করতো।
হেবরনে ১৯২৯ সালের দাঙ্গা
নতুন ইয়েশুভভ এবং ফিলিস্তিনি আরবদের সংঘর্ষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে ১৯২৯ সালে, যখন হেবরনে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, জেরুজালেম শহরের পবিত্র স্থানে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে এবং আল-আকসা দখলের জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে। যার ফলে হেবরনে ব্যাপক দাঙ্গা শুরু হয়।
হেবরনে দাঙ্গা শুরু হলে ইহুদি বাড়ি ও সিনাগগকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। সে সময় হেবরনে মাত্র ৭০০ ইহুদি ছিল। দাঙ্গা না থামা পর্যন্ত এদের অনেককে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো আশ্রয় দেয়। কিন্তু ততক্ষণে অন্তত ৫০ জন ইহুদি বসতি স্থাপনকারীর মৃত্যু হয়ে গেছে।
এই সহিংসতার পর হাগানাহ’র যোদ্ধারা অনুভব করতে শুরু করে যে, ফিলিস্তিনে থাকা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ছোট দলটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক। এতে করে তাদের ভেতর ক্ষোভ জমতে থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তখনো ব্রিটিশদের নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করতে চেয়েছিল, কিন্তু অন্যরা ব্রিটিশদের দেখতে শুরু করে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের পথে কেবল একটি বাধা হিসেবে। প্রয়োজনে হলে যা শক্তি প্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়া দরকার।
ডেভিড বেনগুরিয়ানের কথা মনে আছে? তিনিই তখন নতুন ইয়েশুভভদের ইহুদি এজেন্সির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্বে ছিলেন। ইহুদি স্বার্থ রক্ষা এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কোনো ধরনের ঐক্যের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি তখন ব্রিটিশদের সঙ্গে কাজ করছিলেন।
তবে বেনগুরিয়ান তখনো আরবদের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি অবস্থানে যেতে চাইছিলেন না। একইসাথে, তিনি তার ব্রিটিশ মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতেও অনিচ্ছুক ছিলেন।
তাই তিনি ‘হাভলাগা’ (সংযমনীতি) চালু করেন। এই নীতির অধীনে হাগানাহ বাহিনী কেবল ইহুদি বসতিগুলো রক্ষা করার কাজে ব্যবহৃত হবে, কোনোভাবেই ফিলিস্তিনি গ্রামে আক্রমণ করবে না, অন্তত কয়েক বছর পর্যন্ত তো নয়।
১৯৩৭ সালে তার ছেলেকে লেখা এক চিঠিতে ডেভিড বেনগুরিয়ান তার অভিপ্রায় খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছিলেন, আমাদের আরবদের উৎখাত করতে হবে এবং তাদের জায়গা নিতে হবে। আর যদি জোর প্রয়োগ করতে হয়, তবে তা করতে হবে আরবদের নেগেভ বা ট্রান্সজর্ডান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য নয় বরং এই অঞ্চলে আমাদের বসতি স্থাপনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আর আমাদের হাতে সেই শক্তি রয়েছে।
বেনগুরিয়ানের মনোযোগ তখনো ইউরোপের দিকেই ছিল, যেখানে অ্যাডলফ হিটলারের উত্থান এবং নাৎসি জার্মানির আগমনের মধ্য দিয়ে ইহুদিবিদ্বেষ অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছাতে শুরু করেছিল।
এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, যতটা সম্ভব বেশি সংখ্যক ইহুদিদের ফিলিস্তিনে স্থানান্তর করার জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা দরকার।
পরবর্তী এক দশকে প্রায় আড়াই লাখ ইউরোপীয় ইহুদি ফিলিস্তিনে পালিয়ে আসে, যা ওই অঞ্চলে তখনকার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে উসকে দেওয়ার পর্যায়ে নিয়ে যায়।
এমএম/এমজেএফ