ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ এক নৌদুর্ঘটনায় অন্তত চারজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ডুবে যাওয়ার আগে ফেরিটি বালি দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল।
'কেএমপি তুনু প্রতমা জয়া' নামের ফেরিটি পূর্ব জাভার বেনিওয়াঙ্গি বন্দর থেকে ছাড়ার মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যেই ডুবে যায়। তখন ফেরিটিতে ৫৩ জন যাত্রী, ১২ জন ক্রু এবং ২২টি যানবাহন ছিল।
যাত্রীদের কেউ বিদেশি ছিলেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো সরকারি ঘোষণা আসেনি। তবে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল মেট্রো টিভির সম্প্রচারিত যাত্রী তালিকায় দেখা গেছে, সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
এ দুর্ঘটনার খবরে সৌদি আরব সফরে থাকা ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রাবোও সুবিয়ান্তো, সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেন।
প্রথম দিকে উদ্ধারকারীরা প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও ২.৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের মুখে পড়ে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারছিল না। কিন্তু আবহাওয়া কিছুটা ভালো হওয়ার পর উদ্ধার কাজ আবার গতি পায়।
সুরাবায়া শহর থেকে একটি বড় উদ্ধার জাহাজ পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার কাজে নৌবাহিনী, পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল মিলিয়ে ৫৪ জনের বেশি সদস্য অংশ নিচ্ছেন।
জাভার বেনিওয়াঙ্গি অঞ্চলের কেতাপাং বন্দর থেকে বালির গিলিমানুক বন্দরের ফেরি রুটটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত নৌপথ। এই পথের দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার, তবে ফেরিতে পাড়ি দিতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।
এই রুটটি মূলত দ্বীপ দুটির মধ্যে গাড়িতে ভ্রমণকারী মানুষদের জন্য খুব জনপ্রিয়। অনেকেই ব্যক্তিগত বা পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে এই পথেই যাতায়াত করে থাকেন।
এমএম