ঢাকা, শনিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৯ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

‘সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক’ ভেঙে দেওয়ার দাবি মালয়েশিয়া পুলিশের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২১, জুলাই ৪, ২০২৫
‘সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক’ ভেঙে দেওয়ার দাবি মালয়েশিয়া পুলিশের মালয়েশিয়ার নির্মাণখাতে বাংলাদেশিসহ প্রচুর বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে ‘আইএস সন্ত্রাসী গ্রুপের আদর্শ প্রচার ও তহবিল সংগ্রহ করতো’ এ রকম একটি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ কর্তৃপক্ষ।  

শুক্রবার (৪ জুলাই) মালয়েশিয়া পুলিশ কর্মকর্তারা এ দাবি করেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্ট্রেইট টাইমস’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে কুয়ালামপুরে ‘আইএস সম্পৃক্ত একটি সন্ত্রাসী হামলার’ পর ‘সন্ত্রাসী সন্দেহে’ শতাধিক মানুষকে আটক করে মালয়েশিয়া। আঞ্চলিক দমনাভিযানের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের গ্রেপ্তার অনেকটাই কমে এসেছে।  

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, গত এপ্রিল থেকে একাধিক অভিযানে ‘সন্ত্রাসী সন্দেহে’ ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এরা সবাই মালয়েশিয়ায় কারখানা, নির্মাণ বা সেবা খাতে কাজ করতে এসেছিলেন।

কারখানা, বাগান ও নির্মাণ খাতে জনবল ঘাটতি পূরণের জন্য মালয়েশিয়া ব্যাপকভাবে বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করে। প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়া যান।

পুলিশি গোয়েন্দা বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে মালয়েশিয়া পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, মালয়েশিয়া পুলিশ যে নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে সেটি বাংলাদেশি শ্রমিকদের টার্গেট করে সদস্য নিয়োগ করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চরমপন্থি মতাদর্শ প্রচার করত।

এছাড়াও এই নেটওয়ার্কের সদস্যরা আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএস সংগঠনের জন্য অর্থ পাঠাত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।

গত এপ্রিল থেকে আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে পাঁচজনকে সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাকি ১৬ জন এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের তদন্ত চলছে। আরও গ্রেফতারের সম্ভাবনার কথাও জানান মোহাম্মদ খালিদ।

তিনি বলেন, এই নেটওয়ার্কে মোট ১০০ থেকে ১৫০ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাদের সংশ্লিষ্টতা কম, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ বেশি, তাদের মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হবে।

এদিকে ‘সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে’ মালয়েশিয়ায় আটক ৩৬ জন বাংলাদেশি সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্তারিত জানতে চাইবে বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।  

তিনি বলেন, যদিও বিষয়গুলো এখনো খুব বেশি পরিষ্কার নয় এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ নিয়ে বিস্তারিত জানার আশা প্রকাশ করছে সরকার।

এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।