যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পায়ের নিচের অংশে হালকা ফোলা দেখা দিলে ডাক্তাররা তা পরীক্ষা করে দেখেন। পরীক্ষায় একটি দীর্ঘমেয়াদি রক্ত চলাচলের সমস্যা পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
ট্রাম্পের হাতে সম্প্রতি যে কালশিটে দাগ দেখা গেছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এ প্রসঙ্গে কথা বলার সময় লেভিট হঠাৎ করে এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের ওই দাগগুলোকে চিকিৎসকেরা হাত মেলানোর অভ্যাস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে নিয়মিত অ্যাসপিরিন খাওয়ার ফলে হওয়া হালকা টিস্যুর জ্বালাভাব হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রেস সেক্রেটারি আরও বলেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট আমাকে তাঁর চিকিৎসকের একটি নোট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পায়ের নিচের দিকে সামান্য ফোলা লক্ষ্য করেন। নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে এবং অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে বিষয়টি হোয়াইট হাউজ মেডিকেল ইউনিট দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়।
ক্যারোলিন লেভিট বলেন, একটি পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষায়, যার মধ্যে ছিল রক্তনালীর বিভিন্ন পরীক্ষা ও উভয় পায়ের ‘ভেনাস ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড’, তাতে দেখা গেছে প্রেসিডেন্টের ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ রয়েছে, এটি ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে অনেকের মধ্যেই দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, গভীর শিরার রক্ত জমাট বাঁধা বা ধমনীজনিত কোনো রোগের প্রমাণ মেলেনি। একটি ইকোকার্ডিওগ্রামেও প্রেসিডেন্টের হৃদযন্ত্রের গঠন ও কার্যকারিতা স্বাভাবিক দেখা গেছে, হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, কিডনি সমস্যা বা অন্য কোনো সিস্টেমিক অসুস্থতার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পের এই সমস্যার নির্দিষ্ট চিকিৎসা কী হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
এমজেএফ