গাজায় অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ছয়জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মধ্য গাজার সালাহউদ্দিন সড়কে ত্রাণ পরিবহনের রুটে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫৪ জন।
আল-আওদা হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণের সময় অনেকে ত্রাণের আশায় জড়ো হয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে নেতজারিম করিডোরের কাছে। সেখানে সকাল থেকেই ত্রাণের অপেক্ষায় ছিল বহু মানুষ। খবর
এ ঘটনার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) কাছে জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকদিন ধরেই গাজার খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে একের পর এক সতর্কবার্তা আসছে। এরইমধ্যে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা সীমিত পরিসরে কিছু ত্রাণ গাজার ভেতর ঢুকতে দেবে।
ইসরায়েল ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’র ঘোষণা দিয়েছে গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়, যেন মানবিক সহায়তা পৌঁছানো সহজ হয়। ‘নিরাপদ পথ’ স্থায়ীভাবে চালু করার কথাও জানিয়েছে তারা, যার মাধ্যমে নিয়মিত ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হবে।
আলাদা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সাতটি পণ্যের ত্রাণ প্যাকেট গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ফেলছে। এসব ত্রাণ সংগ্রহে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হন গাজার বাসিন্দারা।
সংস্থাগুলো আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছে, এটি গাজার অপুষ্টি সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান ও মিসর ইতিমধ্যে বিমান ও স্থলপথে গাজায় সাহায্য পাঠানো শুরু করেছে।
আরএইচ