ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান বদলাচ্ছে কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৩, জুলাই ২৭, ২০২৫
গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান বদলাচ্ছে কেন? গাজা সিটিতে ত্রাণের অপেক্ষায় ফিলিস্তিনিরা

গাজায় তিনটি নির্দিষ্ট এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে ‘নিরাপদ পথ’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।  

এমন ঘোষণার পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের ক্রমবর্ধমান চাপ, বিশেষ করে গাজায় দুর্ভিক্ষে কাতর শিশুদের হৃদয়বিদারক ছবিগুলো যখন বিশ্ব গণমাধ্যমে উঠে আসছে।

গাজার চিকিৎসক ও মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, দিনদিন হাসপাতালে আসা অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, এবং ভয়াবহ ক্ষুধা এখন জীবনের প্রতিটি স্তরে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা এখন ১২৭ জনে পৌঁছেছে।

বুধবার বিশ্বের শতাধিক ত্রাণ ও মানবাধিকার সংস্থা একযোগে বিভিন্ন দেশের সরকারকে আহ্বান জানায়—গাজায় অবিলম্বে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার ওপর থাকা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।

এর আগে ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা গাজায় সাহায্য সরবরাহে বাধা না দেয়।

তবে বাস্তবতা আরও ভয়াবহ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে বা আশপাশে খাদ্য সংগ্রহের সময় প্রায় প্রতিদিনই হামলার ঘটনা ঘটছে।

গাজা সরকার জানায়, এ পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার বেশিরভাগই ঘটেছে এই জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রগুলোর কাছাকাছি এলাকায়।

গাজায় এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল কর্তৃক আরোপিত কঠোর অবরোধের কারণে।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।