ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রধান প্রধান দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১০
মিয়ানমারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রধান প্রধান দল

ইয়াঙ্গুন: মিয়ানমারে দুই দশকের মধ্য রোববার প্রথমবারের মত নির্বাচন শুরু হয়েছে। তবে বেসামরিক মুখোশের আড়ালে সেনা শাসিত এ নির্বাচনকে ‘প্রতারণামূলক’ বলছেন সমালোচকরা।



বিরোধী দলের নেতা অং সান সুচি এখনও গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন এবং তার ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এ নির্বাচন বর্জন করেছে।

এদিকে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তনের আশা করা কিছু গণতন্ত্রপন্থী মানবাধিকার কর্মী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

কিন্তু ৩ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর মধ্যে জান্তা সমর্থিত দুটি দল নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বলে তা নানা বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।

নির্বাচনে মোট ৩৭টি দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলো জাতীয় সংসদের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষসহ ১৪টি আঞ্চলিক আইন প্রণয়নকারী সংস্থার প্রায় এক হাজার ১৬০টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রধান প্রধান দলগুলো হলো:

ইউনিয়ন সোলিডারিটি অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি): জান্তা সমর্থিত এ দলটিই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সবচেয়ে বড় দল। মূলত প্রধানমন্ত্রী থান শুয়ে এবং এপ্রিলে সেনা পদ থেকে অবসর নেওয়া অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ে দলটি গঠিত।  

দলটির ব্যাপক অর্থনৈতিক সমর্থনসহ ইউনিয়ন সোলিডারিটি অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসডিএ) লাখ লাখ সদস্য আছে। শক্তিশালী জান্তা সমর্থিত ইউএসডিএ ইউএসডিপি’র একটি অঙ্গ সংগঠণ।  

সংগঠণটি অতীতে সুচির উপর হামলার সঙ্গে জড়িত থাকাসহ বিরোধীদের প্রতিবাদেও হস্তক্ষেপ করে।

ইউএসডিপির এক কোটি ১৮ লাখ সদস্য আছে এবং এ নির্বাচনে দলটির এক হাজার ১০০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে জান্তার অজনপ্রিয়তা সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে অগ্রাধিকারমূলক প্রচারসহ ব্যাপক অর্থনৈতিক সমর্থন ও প্রচারণার কারণে দলটির জয়ের সম্ভবনা বেশি।    

তবে অবৈধভাবে আগেভাগেই ব্যালট সংগ্রহ করাসহ দলটিকে ভোট দিতে জনগণকে বাধ্য করা হচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করে।  

ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি: মৃত স্বৈরশাসক নে ইউনের বার্মা স্যোশালিস্ট প্রোগাম পার্টির উত্তরসূরি ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি (এনইউপি)।

এই নির্বাচনে দলটির প্রার্থী সংখ্যা এক হাজার জন।

বর্তমান জান্তা প্রধান থান শুয়ে নে ইউনের স্থলাষিভিক্ত হওয়ার পর ইউনিয়ন সোলিডারিটি অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট পার্টি ও ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির সম্পর্কে ফাটল ধরে। নে ইউনের পরিবারের সদস্যরা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০০২ সালে তাকে গৃহবন্দি করা হয়।





ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এনডিএফ): এটি সুচির এনএলডি’র সাবেক কিছু সদসকে নিয়ে গঠিত। এনএলডি নির্বাচন বর্জন করায় বর্তমানে দল দুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

নতুন গঠিত দলটি নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্রের পথে প্রথম পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করে। দলটির ১৬০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে এনএলডি’র সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাসহ তাদের দলের প্রতীক ব্যবহার করেছে বলে দলটি অভিযোগ করে।

এদিকে অন্যান্য গণতন্ত্রপন্থী দলের সঙ্গে এনডিএফ’র রাজনৈতিক জোট গঠনের সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।


শ্যান ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি: এ দলটি পূর্বের শ্যান রাজ্যে ব্যাপক সমর্থন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি একইসঙ্গে দলটির আঞ্চলিক সংসদ।

শ্যানদের জনপ্রিয় আদিবাসী নেতা সাই আইক প্যায়ুঙ্গ দলটির নেতা।

হোয়াইট টাইগার পার্টি নামে বহুল পরিচিত দলটি থেকে ১৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কারণে দলটি নির্বাচনের চতুর্থ বৃহৎ দল।

ডেমোক্রেটিক পার্টি (মিয়ানমার): প্রবীণ রাজনীতিবিদ থায়ু ওয়াই (৭৮) এবং সাবেক উচ্চপদস্থ মন্ত্রীদের তিন মেয়েকে নিয়ে গঠিত দলটির ৪৭ জন সদস্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।

দলটি সুচিকে শ্রদ্ধা করলেও কোনো নির্বাচন না হওয়ার তুলনায় ক্রটিপূর্ণ নির্বাচন ভাল বলে তারা বিশ্বাস করেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।