পশ্চিম ইউক্রেনে রাতারাতি শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এমনটি জানিয়েছেন।
জাপোরিঝিয়া, দনিপ্রোপেত্রোভস্ক ও লভিভে হামলার খবর পাওয়া গেছে। যেখানে একজন নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেছেন, এসব হামলা দেখিয়ে দিয়েছে কেন যুদ্ধের অবসানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং আরও শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন সম্ভাব্য শান্তি আলোচনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের স্থান হিসেবে সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া বা তুরস্কের নাম প্রস্তাব করলেন, তখন এই ঘটনা ঘটল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে যেকোনোভাবে দেখা করতে প্রস্তুত।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো বৃহস্পতিবার বুদাপেস্টকে এ ধরনের শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে প্রস্তাব করেছেন।
তবে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং অতীতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করার ইইউর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। তাই তাকে অন্যরা নিরপেক্ষ আয়োজক হিসেবে নাও দেখতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি হাঙ্গেরির প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেননি—তবে তিনি বলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন যেন হাঙ্গেরিকে চাপ দেন ইউক্রেনের ইইউতে যোগদানের আলোচনা বাধা না দিতে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার রাতারাতি আক্রমণে ৬১৪টি আকাশযান ব্যবহার করা হয়েছিল, যার মধ্যে তারা ৫৭৭টি প্রতিহত করতে পেরেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিবিহা বলেন, এই হামলায় ড্রোন, হাইপারসনিক, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের অংশগ্রহণ ছিল।
বৃহস্পতিবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, একটি ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের পশ্চিমতম অঞ্চলে আঘাত করেছে। এতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরএইচ