কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের হামলায় বিরক্তি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘খুশি নন’।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলের ওই হামলার কারণে এখন ভেস্তে যেতে বসেছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর, ১৫টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়, যেখানে একটি লক্ষ্যবস্তুতে ১০টি গোলাবারুদ নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
দোহার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা আটটি পৃথক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
হামাস জানিয়েছে, তাদের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে গেছে।
হামাস বলেছে, এই হামলা ‘একটি জঘন্য অপরাধ, একটি স্পষ্ট আগ্রাসন এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
কাতার বলেছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’, পাশাপাশি কাতারের জন্য ‘গুরুতর হুমকি’।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ এবং হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি ‘এর প্রতিটি দিক নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট’।
ট্রাম্প বলেন, হামলা চলাকালীন মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তিনি হামলার কথা জানতে পেরেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে, তাই আমেরিকার অনুমতি ছাড়া এ হামলা হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারও এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বেআইনি এবং বিনা প্ররোচনায় আক্রমণের মুখে বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার সরকার এবং জনগণের সাথে দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করে।
এনডি/