ব্যাংকক: মুক্তির পর পরই ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সুচি। এসময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বলে ব্যাংককের ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে রোববার জানানো হয়েছে।
ব্যাংককের দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শনিবার বিকেলে কিম অ্যারিস তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে আমরা জানতে পারি। এসময় সুচি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ’
সুচির সঙ্গে দেখা করতে তার ছেলে মিয়ানমারের ভিসা চেয়েছেন।
পুরো সাত বছর কোনো টেলিফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়াই তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। এসময় বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে তার সীমাবদ্ধ যোগাযোগের অনুমতি ছিলো।
কিমের সঙ্গে তার মায়ের বহু বছর দেখা সাক্ষাৎ না হলেও তার সম্ভাব্য মুক্তির খবরে ব্রিটেন থেকে ব্যাংকক আসেন সুচির ছোট ছেলে।
তবে তিনি এখনও মিয়ানমারের ভিসা পাননি বলে দূতাবাসের কর্মকর্তা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মিয়ানমারে মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি ভিসা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ’
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই সুচির ব্যক্তিগত জীবনকে অনেক প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি করেছে। ১৯৯৯ সালে তার স্বামী মাইকেল অ্যারিসের মৃত্যুকালে তিনি সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেনি।
দুই ছেলের সঙ্গেও এক দশক থেকে কোনো যোগাযোগ নেই। এমনকি তার নাতি-নাতনিদের সঙ্গেও এখনও পর্যন্ত সাক্ষাৎ করেন নি সুচি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮১৭ ঘন্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১০