জুরিখ: ফিফার দুই নির্বাহী সদস্যের বিরুদ্ধে ফুটবলের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফিফার নীতিসংক্রান্ত কমিটি বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।
নিষিদ্ধ ওই দুই কর্মকর্তার নাম অ্যামস আদামু ও রেনাল্ড তেমারি। আদামুকে তিন বছর ও তেমারিকে একবছর ফুটবলের সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিনিময়ে অর্থ চেয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার নীতিসংক্রান্ত কমিটি আদামুকে ১০ হাজার দুইশ মার্কিন ডলার, তেমারিকে প্রায় পাঁচ হাজার ডলার অর্থ জরিমানা করেছে।
এছাড়া বোতসোয়ানার ইসমায়েল ভামজিকে চার বছর নিষিদ্ধ, মালির আমাদউ দিয়াকিতে ও টঙ্গার আহোঙ্গালু ফুসিমালোহিকে তিন বছর করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর তিউনিসিয়ার স্লিম আলৌলৌকে দুই বছরের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ফিফা। এদেরকেও অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।
ফিফার নীতিসংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান কদিও সুলসার তিনদিনের শুনানির পর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি যতদিন এই কমিটিতে আছি, নীতি লঙ্ঘন করলে আমরা একদমই সহ্য করব না। ’
২০১৮ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য লড়াই করছে ইংল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন-পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ড-বেলজিয়াম। আর ২০২২ সালের আয়োজক হওয়ার জন্য লড়াই করছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, জাপান দণি কোরিয়া।
স্পেন-পর্তুগাল ও কাতারের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে ফিফার নীতিসংক্রান্ত কমিটি। তারা সবাই এ অভিযোগ নাকচ করেছে।
এ বিষয়ে সুলসার বলেন, ‘আমরা এ যড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পায়নি। ফলে এ নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে না। ’ তবে নিষিদ্ধ দুই নির্বাহী সদস্যই তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ নাকচ করেছেন।
ব্রিটেনের দৈনিকপত্রিকা সানডে টাইমসের সাংবাদিকরা দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত একটি কনসোর্টিয়াম তাদের দেশে বিশ্বকাপ নেওয়ার জন্য আদামু ও তেমারির কাছে দেনদরবার করেছে। এ বিষয়ে গোপনে চার মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে ওই পত্রিকার সাংবাদিকরা।
আদামু নাইজেরিয়ায় ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য আট লাখ মার্কিন সহায়তা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সেটা ঘুষ নয় বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময় : ০৯৫০ ঘণ্টা , নভেম্বর ১৮, ২০১০