লিসবন: পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শুক্রবার দুই দিনব্যাপী ন্যাটো সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে ন্যাটোর ২৮টি সদস্য দেশ অংশ নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, আফগানিস্তানের হামিদ কারজাই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
আশা করা হচ্ছে, সম্মেলনে বিশ্বের নেতৃবৃন্দ আফগানিস্তান যুদ্ধত্রে থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ব্যাপারে সম্মত হবেন। এছাড়া ইউরোপীয় পেণাস্ত্র প্রতিরা নিয়েও এখানে আলোচনা হবে।
সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে বারাক ওবামা একটি মার্কিন দৈনিকপত্রিকার উপসম্পাদকীয়তে লেখেন, আফগান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব হস্তান্তরের ব্যাপারে ন্যাটো সম্মত হবে। ২০১৪ সালের মধ্যে কারজাইয়ের প্রতিরা বাহিনীর কাছে এ দায়িত্ব হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, অ্যাঙ্গেলা মার্কেল আশা প্রকাশ করে জানান, ন্যাটোর নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে মাইলফলকের কাজ করবে।
মার্কেল বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ পেণাস্ত্র প্রতিরা ব্যবস্থা গড়ে তোলা একটি গুরুত্বপুর্ণ আলোচনার বিষয়। নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কেল বলেন, ‘আমি রাশিয়াকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা আগেও সম্ভব ছিলো। ন্যাটো ও রাশিয়ার পারস্পরিক সহায়তার ক্ষেত্রে এটা একটি নতুন দশায় উত্তরণ ঘটবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট লিসবনে আসছেন, এটা অবশ্যই ভালো দিক। ’
পেণাস্ত্র প্রতিরার বিষয়টা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের তিক্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসন পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে পেণাস্ত্র ব্যবস্থা বাড়ানোর প্রস্তাব করলে সম্পর্কের এ অবনমন ঘটে।
ন্যাটোর মহাসচিব অ্যান্ডার্স ফোগ রাসমুসেন পারস্পরিক অবিশ্বাস দূর করার আহ্বান জানান। তিনিই রাশিয়াকে এই উদ্যোগের সঙ্গে হওয়ার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১০