গ্রেমাউথ: নিউজিল্যান্ডের কয়লাখনি থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হওয়ায় আটকে পড়া ২৯ জন শ্রমিকের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশ এ তথ্য জানায়।
পুলিশ কমান্ডার গ্রে নিওয়েল বলেন, পাইক রিভার কয়লাখনির কাছে শনিবার উদ্ধারকারী দল অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু গ্যাস নির্গমন বন্ধ না হলে তারা নিচে নামতে পারছেন না।
খনিতে বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ থাকা কারও সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। নিওয়েল জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ শুরু করতে পারবেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনও আমরা কাজ শুরু করতে পারিনি। তবে আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা কাজ শুরুর উপায় খুঁজছি।
কমান্ডার বলেন, ‘নিরাপদ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে আমি কাউকে নিচে নামতে দিতে পারি না। ’
খনির মালিক আশা করেছেন নিখোঁজ সবাই বেঁচে আছেন। যদিও গ্রেমাউথ অঞ্চলের মেয়র টনি কুকশরন উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করে বলেছেন, যতোই সময় যাচ্ছে নিখোঁজদের বেঁচে থাকার আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। ’
প্রধানমন্ত্রী জন কি জানান, খনিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালানো হবে। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের সবার জন্য কঠিন সময়। তবে তাদের জীবিত উদ্ধার করতে পারবো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ’
কি জানান, গোটা বিশ্ব থেকে উদ্ধারে সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগত ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছেন, তার মনপ্রাণ কয়লাখনিতে আটকে পড়াদের কাছে চলে গেছে। ’
নিখাঁজ শ্রমিকদের মধ্যে দুইজন অস্ট্রেলিয়ার এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অন্যরা নিউজিল্যান্ডের।
অস্ট্রেলিয়া থেকে গ্যাসের মাত্রা নির্ণয়যন্ত্র আনা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেছেন তারা সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চল পশ্চিম উপকূলে শুক্রবার কয়লাখনিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
পাইক রিভার কোল নামের একটি কোম্পানি ওই খনির দায়িত্বে আছে। ইস্পাত কারখানায় ব্যবহারের জন্য এখান থেকে শক্ত কোক-কয়লা উত্তোলন করা হয়। এখানে কৌশলগত কিছু সমস্য দেখা দেয়।
কোম্পানিটির ৩০ শতাংশ মালিকানা নিউজিল্যান্ড অয়েল ও গ্যাস লিমিটেডের। ভারতীয় দুই কোম্পানি গুজরাত এআরই ও সৌরাষ্ট্র ফুয়েলসের কিছু মালিকানা এতে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১০