এয়ারফোর্স ওয়ান: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ লিসবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। ন্যাটো সম্মেলনের পাশাপাশি তারা আকস্মিকভাবে এ বৈঠক করেন বলে হোয়াউট হাউস থেকে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বেন রোডস সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা দু’জন একটি কক্ষে যান এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট আলোচনা করেন। তবে এটি ছিল অপরিকল্পিত ও অনানুষ্ঠানিক। ’
ওবামা ও মেদভেদেভের সম্পর্ককে রোডস ‘অনেক ঘনিষ্ঠ’ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘তারা একে অন্যকে পছন্দ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেও পছন্দ করেন। ’
ওবামার উদ্যোগে এ বৈঠক হয় বলে পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান। ওবামা এ বৈঠককে ‘খুবই আন্তরিক’ বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট মিখাইল সাকাশভিলি’র সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়েও মেদভেদেভের সঙ্গে আলোচনা করেন ওবামা।
২০০৮ সালের আগস্টে জর্জিয়ার সঙ্গে পাঁচদিনব্যাপী যুদ্ধ করে রাশিয়া। এ নিয়ে জর্জিয়ার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি কমানোর বিষয়েও ওবামা মেদভেদেভের সঙ্গে আলোচনা করেন বলে এক কর্মকর্তা জানান।
একইসঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন ওবামা। এ বিষয়ে এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই আন্তরিকভাবে আলোচনা করেন এবং এর সফলতা নিয়ে মেদভেদেভ দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ’
এপ্রিলে প্যারাগুয়েতে ওবামা ও মেদভেদেভ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিমাণ এক হাজার ৫৫০টিতে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। এটি ২০০২ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম।
এর আগে শনিবার ইউরোপকে রক্ষায় যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে ন্যাটোর সঙ্গে একমত হয় রাশিয়া। একইসঙ্গে আফগানিস্তানে সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়েও অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দেশটি।
২০০৮ সালে জর্জিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের পর এটাই কোনো রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের প্রথম এ ধরনের সম্মেলনে অংশগ্রহণ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১০