হংকং: পশ্চিমের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ইয়েমেন ভিত্তিক আল-কায়েদা সন্ত্রাসী দল। এক্ষেত্রে গত মাসের মতো পার্সেল বোমার হামলা চালিয়ে ‘শত্রু’দের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলেও অঙ্গীকার করে দলটি।
অক্টোবরে পণ্যবাহী বিমানে সন্ধান পাওয়া পার্সেল বোমা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় বলে আরব দ্বীপপুঞ্জ ভিত্তিক আল-কায়েদা দল (একিউএপি) জানায়। তবে মানুষকে হত্যা নয় বরং সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষতির জন্য এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো বলেও জানায় দলটি।
এ হামলাটি ‘অপারেশন হেমারেইজ’র অংশ ছিলো বলে ধারণা করা হয়। দুবাই ও ব্রিটেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিমানে এ পার্সেল বোমা আবিষ্কারের কারণে জঙ্গিদের হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
তবে এখন তারা ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের হামলার মত ব্যাপক হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করছে বলে দলটি জানায়।
ইংরেজি ভাষার ম্যাগাজিন ‘ইন্সপায়ার’ এ সন্ত্রাসী চক্রটি এ বিষয়ে বলে, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে আমাদের বড় ধরনের হামলার প্রয়োজন নেই। ’
এতে আরও বলা হয়, ‘এভাবে অব্যাহতভাবে ছোট ছোট হামলার মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য শত্রুদের নির্যাতন করে হত্যা করা। ’
‘আমরা এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাবো এবং এর কয়েকটি ব্যর্থ হলেও সমস্যা নেই। বরং এর মধ্য দিয়ে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া এবং নিরাপত্তা জোরদারে পশ্চিমা দেশগুলোর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করানো আমাদের পরিকল্পনারই অংশ। ’
‘আমরা আগেই আমাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাচ্ছি কারণ সর্বোচ্চ হত্যা আমাদের লক্ষ্য নয়। বিমান শিল্পে ধস নামানোই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্যে। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পরিবহন ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। ’
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গোয়েন্দ সংস্থার পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১০