ওয়াশিংটন: উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে একজন মার্কিন বিজ্ঞানীকে দেশটির নতুন নির্মিত পরমাণু স্থাপনা দেখিয়েছে। বড় আকারের এ স্থাপনায় এরইমধ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে।
জটিল এ পরমাণু স্থাপনা তাকে হতবুদ্ধি করেছে বলে লস অ্যালামোসের জাতীয় গবেষণাগারের পরিচালক বিজ্ঞানী সেইগফ্রাইড হেকের দৈনিকটিকে জানায়। তবে তিনি ফিরে আসার বেশ ক’দিন আগেই এ বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে হোয়াইট হাউসকে জানিয়েছেন বলেও জানা যায়।
স্থাপনায় এরইমধ্যে ২ হাজার যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে এবং এগুলোর কাজ চলছে বলে উত্তর কোরিয়া দাবি করে। একইসঙ্গে এর সত্যতা প্রমাণে হেইকেরকে স্থাপনাটি সফরের অনুমতি দেওয়া হয় বলে টাইমস এ প্রকাশ করা হয়।
তবে পরমাণু স্থাপনার অবস্থান সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে এখনও পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে অত্যাধুনিক এ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে শত শত যন্ত্রাদি স্থাপন করা হয়েছে বলে হেকের জানান।
তবে ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাসহ স্থাপনায় এরইমধ্যে নিম্ন-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের উত্তর কোরিয়ার দাবির সত্যতা যাচাইয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। ।
তবে পিয়ংইয়ং এর এ প্রকল্প শেষ করার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন করাটা খুবই যুক্তিসঙ্গত। ’
এদিকে পিয়ংইয়ং এর সন্দেহজনক পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে উত্তর কোরিয়ার উচ্চ পদস্থ মার্কিন কূটনীতিক রোববার এশিয়া পৌঁছেছেন। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
স্টিফেন বোসওয়ার্থ শনিবার সিউলের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন। মূলত পিয়ংইয়ং এর পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করতে এসময় তিনি টোকিও এবং বেইজিং সফর করবেন।
এদিকে জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে বিদেশের সহায়তায় উত্তর কোরিয়া নতুন স্থাপনাটি তৈরি করেছে বলে সংবাদপত্রটি সন্দেহ করে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৫৩ ঘন্টা, নভেম্বর ২১, ২০১০