কাঠমুন্ডু: নেপালের নির্বাচন প্রক্রিয়া পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এসব দেশের সরকারের মতে নেপালের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইসরায়েল, জাপান, দ্য নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রধানরা শনিবার এ বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন।
সমন্বিত শান্তি চুক্তির (সিপিএ) চতুর্থ বার্ষিকীতে এ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহল প্রচন্ড এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রাসাদ কৈরালার মধ্যে ২০০৬ সালে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্য দিয়ে ১০ বছরের মাওবাদী বিদ্রোহ শেষ হয় এবং সহিংসতা থেকে দেশটি রক্ষা পায়।
তারা বলেন, ‘নেপালের সংবিধান তৈরির জন্য আর মাত্র ছয় মাস বাকি। সময় দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সহিংসতা পরিত্যাগ করবে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য একত্রে কাজ করবেন। শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল গণতন্ত্রের দ্রুত অগ্রগতি ছাড়া নেপাল অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে। কিন্তু দেশটির জনগণ উন্নয়নের পক্ষে। ’
নেপালের সেনাবাহিনী গঠনে সাবেক মাওবাদী যোদ্ধাদের অখন্ডতা এবং পুনর্বাসনে অগ্রগতির অভাব, নতুন সংবিধান তৈরির ক্ষেত্রে অব্যাহত বাধা এবং দেশটির ভবিষ্যৎ গঠন কাঠামো এবং শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কোনো সম্মমিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কূটনীতিকরা।
এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়া ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। একইসঙ্গে সরকারের বাজেট ঘোষণায় বাধা দেওয়াসহ গেরিলা দল ভেঙ্গে দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছে দেশটির বিরোধী মাওবাদী দল।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮০৯ ঘন্টা, নভেম্বর ২১, ২০১০