গ্রেমাউথ: কয়লাখনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের বেঁচে থাকার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে বলে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘খনিতে থাকা অক্সিজেন কাজে লাগালে শ্রমিকদের বেঁচে থাকার শতভাগ সম্ভবনা রয়েছে।
শুক্রবার দেশটির দক্ষিণ দ্বীপের গ্রেমাউথের কাছে পাইক রিভার কয়লাখনিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এর থেকে ২৯ জন খনিশ্রমিক নিখোঁজ হয়। বিস্ফোরণের তিনদিন পরও শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ওই শ্রমিকদের মধ্যে ২৪ জন নিউজিল্যান্ডের, দুই জন অস্ট্রেলিয়ার, দুইজন ব্রিটেন এবং একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।
এদিকে, উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিষাক্ত গ্যাসের কারণে উদ্ধারকাজ শুরু করা বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে খনির ১৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত পথে বাতাস চলাচলের জন্য স্থানে এরইমধ্যে খনন কাজ শুরু হয়েছে। গর্ত খোঁড়ার কাজ শেষ হলে তাদের জন্য পাম্প করে বিশুদ্ধ বাতাসের ব্যবস্থা করা হবে।
একইসঙ্গে শ্রমিকদের অবস্থান জানতে খনিতে ক্যামেরাও প্রবেশ করানো হবে। এসময় গ্যাসের পরিমাণ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
পরবর্তীতে তাদের উদ্ধারের রাস্তা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে রোবট পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান এক কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের পাশে থেকে তাদের সাহস দিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গ্রেমাউথ থেকে বিবিসির ফিল মেরসের এ তথ্য জানান। কিন্তু ধীর প্রক্রিয়ার কারণে তারা ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছেন বলে স্থানীয় মেয়র টনি ককশুর্ন জানান।
উদ্ধারকর্মীদের খনিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ চাপের মধ্যে আছে। কিন্তু উদ্ধারকাজের কারণে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটা নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০