ইয়াঙ্গুন: মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির ছোট ছেলের ভিসা অনুমোদন করেছে দেশটির সামরিক জান্তা। মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তাকে ওই ভিসা দেওয়া হয়েছে।
সুচি’র মুক্তির বিষয়টি জানতে পেরে কিম অ্যারিস (৩৩) আগেই ব্রিটেন থেকে ব্যাংককে পৌঁছান। গত ১৩ নভেম্বর সু চিকে ৭ বছরের গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সুচি’র আইনজীবী নায়ান উইন বার্তাসংস্থা এএফপিকে সোমবার বলেন, ‘ অ্যারিস ভিসা পেয়েছে এবং সোমবার দেশে আসার চেষ্টা করছে। ’
তবে সোমবার সম্ভব না হলে মঙ্গলবার অ্যারিস ব্যাংকক থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন। সুচি’র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এ তথ্য জানায়।
এদিকে অ্যারিসকে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানানোর পরিকল্পনা করছেন সুচি।
গৃহবন্দী থাকাবস্থায় সু চিকে কখনোই টেলিফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে সীমিত যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয় তাকে।
এ কারণে মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক ও গুপ্ত হত্যার শিকার জেনারেল অং সানের মেয়ে সুচির ১০ বছর ধরে তার দুই ছেলে অ্যারিস ও অ্যালেজান্ডারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। একইসঙ্গে এখনও তার নাতি-নাতনিদের দেখার সুযোগও পাননি তিনি।
তবে সু চি’র মুক্তি পাওয়ার দিন বিকালে তিনি অ্যারিসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বলে ব্যাংককের ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০