নয়াদিল্লী: সুপ্রীম কোর্টের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। টেলিকমের জালিয়াতের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে মঙ্গলবার তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
টেলিকমের বরখাস্ত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুনীর্তির অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়। কিন্তু এ আবেদন পর্যবেণে প্রধানমন্ত্রী কেন ১৬ মাস সময় নিলেন, আদালতে তিনি এ প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন।
এদিকে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে বিরোধী দল। এর পর থেকে দেশটির পার্লামেন্ট কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
আদালতে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে এগারোটায় মনমোহন সিং’র প্রতিনিধির মতামতের শুনানি শুরু হয়।
তবে বিচারকদের প থেকে যেকোন তাৎপর্যপূর্ণ সমালোচনাই হবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য কঠিন একটি বিষয়।
এদিকে এরইমধ্যে এ কেলেঙ্কারীর প্রভাব পড়েছে সংসদে। ৯ নভেম্বর থেকে বিরোধী দল ঘটনার সংসদীয় তদন্তের দাবি জানানোর পর থেকে সংসদ অচল হয়ে পড়ে।
মূলত কোটি কোটি ডলারের সমপরিমাণ মূল্যে টেলিকমের লাইসেন্স ও রেডিও তরঙ্গ বিক্রি নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধের তদন্তের দাবি করে বিরোধী দল।
এ বিষয়ে সোমবার বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হয়। তাই মঙ্গলবারও সংসদের কোনো কইে কাজ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে সংসদের অচলাবস্থা সরকার ব্যবস্থায় তেমন প্রভাব না ফেললেও এ ঘটনা সংসদের মাধ্যমে সরকারের অর্থনৈতিক আইন পাশের যোগ্যতাকে দুর্বল করে দেবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে এরইমধ্যে ছাড়পত্র পাওয়া টেলিকমের কিছু লাইসেন্স ও তরঙ্গ পুনর্মূল্যায়নে সরকার বাধ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে টেলিকমের শেয়ার আগের মতই তিগ্রস্ত হবে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
২০০৭-০৮ সালে খুব সুলভ মূল্যে লাইসেন্স ও তরঙ্গ বিক্রির অভিযোগ করা হয় টেলিকমের বিরুদ্ধে। এতে রাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ব্যয় হয় বলে সরকারি হিসাব পরীণ পর্যবেক সূত্রে জানাগেছে।
এর ভিত্তিতে গত সপ্তাহে টেলিকমের প্রধান অ্যান্দিমুতু রাজা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
তামিল নাড়ুর ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দল ডিএমকে’র সদস্য রাজা। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার জন্য দলটির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে ভারতের মতাসীন কংগ্রেস দল।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৪৫ ঘন্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০