নয়াদিল্লি: তিব্বতের অধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা সরকার প্রধানের পদ থেকে অবসর নিতে চাচ্ছেন। কাজের চাপ কমানোর জন্য আগামী বছর তিনি এ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ী এলাকার ধর্মশালায় ১৯৬০ সাল থেকে নির্বাসিত তিব্বতীয়দের আন্দোলন চলে আসছে। এখানেই ২০০১ সালে প্রথমবারের মত প্রত্যভাবে রাজনৈতিক নেতা নির্বাচন করা হয়।
এ বিষয়ে দালাই লামার মুখপাত্র তেনজিন তাকলাহ বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি বলে আসছেন যে তিনি আংশিক অবসরের পর্যায়ে আছেন। ’
‘তার অবসরের বিষয়টি বিবেচনার জন্য তিব্বতীয়দের সংসদে উপস্থাপন করা হবে। ’
তাকলাহ জানান, মার্চে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন এবং আগামী ছয় মাস সব ধরনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে পরিকল্পনা করছেন।
তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টিই সংসদে আলোচনা করা হবে। তাদের মতামত বিবেচনার উপর নির্ভরশীল। এখন কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। তবে এমন কিছু বিষয় আছে যা তাকেই বিবেচনা করতে হবে। ’
সরকার প্রধানের দায়িত্ব হিসেবে আইনে স্বার করার মত আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাকলাহ জানান। কেননা একজন আধ্যাত্মিক নেতা ও তিব্বতীয়দের কাছে বিশাল ব্যক্তিত্ব হিসেবে এগুলো তার প্রধান কাজ নয়।
তাকলাহ বলেন, ‘তবে এর অর্থ এটা নয় যে তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। তিনি দালাইলামা, তাই স্বাভাবিকভাবেই সব সময় তিব্বতের জনগণের নেতা থাকবেন। ’
তিব্বতে চীনের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়া এবং ধর্ম ও বৌদ্ধদের মূল্যবোধ নিয়ে সংলাপ শান্তিতে নোবেল জয়ী এ অধ্যাত্মিক নেতাকে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০