গ্রেমাউথ: নিউজিল্যান্ডের খনিতে আটকে পড়া ২৯ শ্রমিক সবাই নিহত হয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতার প্রধান কর্মকর্তা বুধবার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তাসমান পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট গ্যারি নোলেস শ্রমিকদের পরিবারের কাছে তাদের মৃত্যুর খবরটি ঘোষণা করেন।
শ্রমিকদের উদ্ধারে খনন কাজ চলাকালে মাটির নিচ থেকে বের হয়ে আসা বাতাসে উচ্চ মাত্রার কার্বণ মনোক্সাইড এবং মিথেন পাওয়া যায়। তবে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ খুব কম ছিলো বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
দুটি ক্যামেরাসহ খনিতে পাঠানো রোবটের সাহায্যে একজন শ্রমিকের হেলমেট দেখা যায়, যাতে তখনও বাতি জ্বলছিলো। তবে জীবনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়।
হেলমেটটি প্রথম বিস্ফোরণের পর ফিরে আসতে সক্ষম দু’জন শ্রমিকের যেকোনো একজনের হতে পারে বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে মঙ্গলবার চারটি ক্যামেরাসহ পাঠানো প্রথম রোবটটি অব্যাহত জলপ্রপাতে আটকে পড়ে এবং মাটির ৫০০ মিটার নিচে ভেঙ্গে পড়ে।
বুধবার সেনা সদস্যরা রোবটটি মেরামত করতে সক্ষম হন এবং এটিকে সুড়ঙ্গের দুই দশমিক দুই কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে এটিকে অনুসরণের জন্য দ্বিতীয় আরেকটি রোবট পাঠানো হয় বলে পাইক রিভার কয়লা খনির প্রধান নির্বাহী পিটার হুইটাল জানান।
একইসঙ্গে তৃতীয় আরেকটি রোবট পাঠানো হবে বলেও জানান হুইটাল।
শুক্রবার দেশটির গ্রেমাউথের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের পর থেকে ২৯ জন শ্রমিক নিখোঁজ হন। ১৭ থেকে ৬২ বছরের শ্রমিকদের অধিকাংশই নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। তবে এদের মধ্যে স্কটল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকও ছিলেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৫০ ঘন্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০